০২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামুর বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের আসামী আব্দুল করিম ও ইয়াছিরের নেতৃত্বে বাড়ি লুটপাট: মারধরে আহত নারী: এজাহার দায়ের

রামুতে বসতভিটি জবর দখলের উদ্দেশ্যে বাসায় ঢুকে মহিলাদের মারধর পুর্বক স্বর্ণের চেইন, মুল্যবান যন্ত্রাশ ও নগদ দুই লাখ টাকা লুটে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রামুর মন্দির পোড়ানোর মামলার আসামীর বিরুদ্ধে।
১৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১ টায় এ ঘটনা ঘটেছে রামু উপজেলার ফতেঁখারকুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেরংলোয়া এলাকায়। এ সংক্রান্তে রামু থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।দায়েরকৃত এজাহার ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফতেঁখারকুল ইউনিয়নের মেরংলোয়া এলাকার ইব্রাহিম খলিলের বসতভিটি জবর দখল চেষ্টা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছিলেন তার ভাই—ভাতিজা। ধারাবাহিকতায় ১৪ অক্টোবর ইব্রাহিম বাড়িতে না থাকার সুযোগে ভাই, মৃত হাজী রশিদ আহমদের ছেলে রামু মন্দির পুঁড়ার আসামী আব্দুল করিম (৫৮) ও ভাতিজা আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুল ইয়াসির শাহজাহান (২৩) অতর্কিতে বাড়িতে ঢুকে ইব্রাহিমের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার (৫০)সহ ঘটনার প্রতেক্ষদর্শী অপরাপর নারী—পুরুষদের বেধড়ক মারধর করে নীলাফোলা জখম করেন। মারধরে আহত হওয়াদের জিম্মী করে দিলরুবার গলায় পরিধেয় থাকা ১টি ১ভরি ৮আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন,( যার মুল্য দেড় লাখ টাকা)বাড়িতে রক্ষিত মুল্যবান যন্ত্রাংশ, নগদ দুই লাখ টাকা সহ প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান। আহতদের শোর চিৎকারে পাড়া—প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।পালিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা আহতদের শাসিয়ে যান,কোন প্রকার মামলা—মোকাদ্দমা করলে অপহরণ পুর্বক জানে মেরে লাশ গুম করা হবে,ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করত:জখমের চিকিৎসা করা হয়। উক্ত সন্ত্রাসীরা এ ঘটনার দুই স্বাক্ষী তৈয়ব উল্লাহ ও রিদুয়ানুলকে মারধর করাও অভিযোগ উঠেছে।
এ সংক্রান্তে ঘটনায় অভিযুক্ত মন্দির পোড়ানোর মামলার আসামী আবদুল করিম ও তার ছেলে আব্দুল ইয়াসির শাহজাহানের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইব্রাহিমের স্ত্রী আহত দিলরুবা আক্তার বাদী হয়ে রামু থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী আহতের পরিবার প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন, উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘঠিত হতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটার আশংকা প্রকাশ করেছেন, তাই দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

‘স্টেপ ডাউন ইউনুস’পোস্ট করে আটক হলেন যুবক!

রামুর বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের আসামী আব্দুল করিম ও ইয়াছিরের নেতৃত্বে বাড়ি লুটপাট: মারধরে আহত নারী: এজাহার দায়ের

প্রকাশিত সময় : ১১:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

রামুতে বসতভিটি জবর দখলের উদ্দেশ্যে বাসায় ঢুকে মহিলাদের মারধর পুর্বক স্বর্ণের চেইন, মুল্যবান যন্ত্রাশ ও নগদ দুই লাখ টাকা লুটে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রামুর মন্দির পোড়ানোর মামলার আসামীর বিরুদ্ধে।
১৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১ টায় এ ঘটনা ঘটেছে রামু উপজেলার ফতেঁখারকুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেরংলোয়া এলাকায়। এ সংক্রান্তে রামু থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে।দায়েরকৃত এজাহার ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফতেঁখারকুল ইউনিয়নের মেরংলোয়া এলাকার ইব্রাহিম খলিলের বসতভিটি জবর দখল চেষ্টা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছিলেন তার ভাই—ভাতিজা। ধারাবাহিকতায় ১৪ অক্টোবর ইব্রাহিম বাড়িতে না থাকার সুযোগে ভাই, মৃত হাজী রশিদ আহমদের ছেলে রামু মন্দির পুঁড়ার আসামী আব্দুল করিম (৫৮) ও ভাতিজা আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুল ইয়াসির শাহজাহান (২৩) অতর্কিতে বাড়িতে ঢুকে ইব্রাহিমের স্ত্রী দিলরুবা আক্তার (৫০)সহ ঘটনার প্রতেক্ষদর্শী অপরাপর নারী—পুরুষদের বেধড়ক মারধর করে নীলাফোলা জখম করেন। মারধরে আহত হওয়াদের জিম্মী করে দিলরুবার গলায় পরিধেয় থাকা ১টি ১ভরি ৮আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন,( যার মুল্য দেড় লাখ টাকা)বাড়িতে রক্ষিত মুল্যবান যন্ত্রাংশ, নগদ দুই লাখ টাকা সহ প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যান। আহতদের শোর চিৎকারে পাড়া—প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজন এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়।পালিয়ে যাওয়ার সময় অভিযুক্তরা আহতদের শাসিয়ে যান,কোন প্রকার মামলা—মোকাদ্দমা করলে অপহরণ পুর্বক জানে মেরে লাশ গুম করা হবে,ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করত:জখমের চিকিৎসা করা হয়। উক্ত সন্ত্রাসীরা এ ঘটনার দুই স্বাক্ষী তৈয়ব উল্লাহ ও রিদুয়ানুলকে মারধর করাও অভিযোগ উঠেছে।
এ সংক্রান্তে ঘটনায় অভিযুক্ত মন্দির পোড়ানোর মামলার আসামী আবদুল করিম ও তার ছেলে আব্দুল ইয়াসির শাহজাহানের বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইব্রাহিমের স্ত্রী আহত দিলরুবা আক্তার বাদী হয়ে রামু থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী আহতের পরিবার প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন, উক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘঠিত হতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটার আশংকা প্রকাশ করেছেন, তাই দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।