০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাপলাপুর জেএমঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ ও শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিন বিরুদ্ধে অবশেষে দুর্নীতি মামলা দায়ের

  • বার্তা পরিবেশক:
  • প্রকাশিত সময় : ০৭:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • ৬২২ ভিউ

কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলার মহেশখালীর শাপলাপুরস্থ জলেয়ারমার ঘাট (জে.এম. ঘাট) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য, গত ১৯৯৭ থেকে ২০১২ইং পর্যন্ত অর্গানাইজিং কমিটির সভাপতি এবং ২০১২ থেকে ২০২৪ইং পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম কর্তৃক মনোনীত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদুল আলম বাদী হয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, কক্সবাজারে জে.এম. ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ ও সহকারী শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, উক্ত নুর মোহাম্মদ ও তোয়াহার উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে দূর্ণীতি ও প্রতারণামূলকভাবে কোটি কোটি টাকা অর্থ আত্মসাত করেছেন এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্বাক্ষর জাল—জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হওয়ার উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, নুর মোহাম্মদ প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে বিশেষ করে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী যথাক্রমে—০১) মোঃ আব্দুর রহিম বাবু, ০২) রবিউল হাসান রুবেল, ০৩) তানজিনা সুলতানা নিহারিকা, ০৪) মোহাম্মদ শওকত, ০৫) রাশেদুল ইসলাম ফরাজি, ০৬) নুর মোহাম্মদ বাবুল এবং কৃত্রিম নিয়োগ বোর্ড গঠন করে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিনকে নিয়োগ প্রদানসহ ১নং আসামী নুর মোহাম্মদ প্রায় ৪০,০০,০০০/— (চল্লিশ লক্ষ) টাকা মতো আত্মসাৎ করিয়াছেন। উক্ত নুর মোহাম্মদ ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জলেয়ারমার ঘাট (জে.এম. ঘাট) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের রশিদপত্র মূলে সর্বসাকুল্যে অনুদান বাবদ ২১,৮৫,৫৫৭/— (একুশ লক্ষ পঁচাশি হাজার পাঁচশত সাতান্ন) টাকা প্রদান করেন। তৎমর্মে নুর মোহাম্মদ সাবেক সভাপতি ফরিদুল আলমের বরাবরে উক্ত অনুদানের টাকার স্বীকৃতি স্বরূপ গত ৩০/০৮/২০২২ইং তারিখের জে/আ/উ/বি/(মহেশ)—কক্স:/২০২২(০১) নং স্মারকে “আজীবন দাতার স্বীকৃতিপত্র” প্রদান করেন।
নুর মোহাম্মদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে উক্ত বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোঃ আবদুছ সালাম কর্তৃক অনুদান বাবদ প্রথম ধাপে ৩১/১২/২০২৪ইং তারিখে ১,০০,০০০/— (এক লক্ষ) টাকা ও দ্বিতীয় ধাপে ১৫/০৭/২০১৫ইং তারিখে ২,২০,০০০/— (দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকাসহ সর্বমোট ৩,২০,০০০/— (তিন লক্ষ বিশ হাজার) টাকা প্রদান করেন। যা নুর মোহাম্মদ বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা না করে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন।
নুর মোহাম্মদ জলেয়ারমার ঘাট (জে.এম. ঘাট) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্তির পর হইতে প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে তাহার দুঃশাসন, অনিয়ম ও দূর্নীতির মহাযজ্ঞ চালিয়ে আসার এক পর্যায়ে বিগত বছরের বাদী কর্তৃক নুর মোহাম্মদকে ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জলেয়ারমার ঘাট (জে.এম. ঘাট) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের রশিদপত্র মূলে প্রদেয় সার্বসাকুল্যে অনুদান ২১,৮৫,৫৫৭/— (একুশ লক্ষ পঁচাশি হাজার পাঁচশত সাতান্ন) টাকা প্রদানের হিসাব চাহিলে নুর মোহাম্মদ গত ২০ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখ অসুবিধার কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিস্কে, কাহারো বিনা প্ররোচনায় পদত্যাগ পূর্বক অবসর গ্রহণ করিলেও তাহার ক্ষমতা ও গায়ের জোরে অত্র বিদ্যালয়ের অফিসে রক্ষিত পূর্বের সীল এবং বাদীর স্বাক্ষর জালিয়াত করে নিজেকে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখে “বেসরকারী সিনিয়র শিক্ষক” নিয়োগপত্র দেখিয়ে পুনরায় অত্র বিদ্যালয়ে তাহার দুঃশাসন, অনিয়ম ও দূর্নীতি অব্যাহত রেখেছেন এবং নুর মোহাম্মদকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি আর্থিক সুবিধা না দেয়, তিনি বিদ্যালয়কে ধ্বংস করে দিবেন মর্মে হুমকি—ধমকি প্রদান করেন। উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিন গত ০১ জুন ২০১৫ ইং তারিখে জে.এম.ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে যোগদান করে। যোগদান কালে যোগ্যতার প্রমাণস্বরূপ বি.এ, এইচ.এস.সি, এস.এস.সি পরীক্ষাসমূহের সার্টিফিকেট এবং ৮ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা, ২০১২ সহকারী শিক্ষক (বাংলা) সার্টিফিকেট জমা প্রদান করে এবং ৩০০/— (তিনশত) টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে প্রতিষ্ঠানকে অঙ্গীকার নামা প্রদান করেন এবং নুর মোহাম্মদ সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কমিটির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জমাকৃত সার্টিফিকেট সমূহ কোন প্রকার যাচাই—বাছাই না করিয়া তোয়াহার উদ্দিনকে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে নিয়োগ চূড়ান্ত করে। যাহা এমপিও নীতিমালা, ২০১৩ লঙ্ঘন করে নুর মোহাম্মদ যখন যাকে ইচ্ছা নিয়োগ প্রদান করেন এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে বোকা বানিয়ে স্বাক্ষর আদায়ের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল ব্যবহার করেন।
বিগত ২০২৩ সালে জাতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেশব্যাপী শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির বিষয় প্রকাশ পায়। তৎপ্রেক্ষিতে জে.এম.ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকসহ ২নং আসামীর এনটিআরসিএ নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের জন্য কর্তৃপক্ষের বরাবরে চিঠি প্রেরণ করা হলে, ঘঞজঈঅ এর সহকারী পরিচালক (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন—১) জনাব ফিরোজ আহমেদ বিগত ২৯/০২/২০২৪ ইং তারিখের ৩৭.০৫.০০০.০১০.০৫.০০১.২৪.৪৯৩ নং স্মারকমূলে প্রেরিত চিঠিতে জানান যে, “২০১২ সালের ৮ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ৩০৪০৫৯০২ রোল নম্বর সম্বলিত গড়যধসসবফ ঞঁধযধৎ টফফরহ, পিতা— খধঃব অষর ঐড়ংংধরহ, মাতা— গধৎরঁস ইবমঁস এর দাখিলকৃত প্রত্যয়নপত্রটির সাথে এ প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত ফলাফলে মিল না থাকায় প্রতিয়মান হয় প্রত্যয়নপত্রটি জাল ও ভুঁয়া।” উক্ত চিঠিতে “বর্ণিত প্রত্যয়নপত্রধারী ব্যক্তি রেকর্ডপত্রদৃষ্টে জাল/জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন মর্মে দলিলদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়েছে। উক্ত জাল ও ভুঁয়া প্রত্যয়নপত্রধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে থানায় মামলা দায়েরপূর্বক অত্রাফিসকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।”
শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনকে উক্তরূপ জালিয়াতির বিষয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হইলে, কাওছার আহমেদ, সহকারী পরিচালক (মা.উইং) স্বাক্ষরিত বিগত ২৮/০৩/২০২৪ ইং তারিখের ৪৩৭.৩৭.০২.০০০. ১০৭.৩১.৪৩৭. ২০২৩.৬৩৭ নং স্মারকমূলে ২নং আসামীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।
পরবর্তীতে জে.এম. ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক—কর্মচারী ও ছাত্র—ছাত্রীদের পড়ালেখার মানোন্নয়নে যেন ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় তৎজন্য সরকারী বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পূর্বক ম্যানেজিং কমিটি ও নিয়োগ কমিটির পরীক্ষা মারফত ১৪ বছরের শিক্ষাকতা পেশায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি বাছাইক্রমে ৫নং স্বাক্ষী জনাব মোহাম্মদ কায়চার লিটনকে প্রধান শিক্ষক পদে চূড়ান্ত করেন। তৎপরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে জনাব মোহাম্মদ কায়চার লিটন গত ১৯/০১/২০২৩ইং তারিখে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। উক্ত ৫নং স্বাক্ষী জনাব মোহাম্মদ কায়চার লিটন অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর প্রধান শিক্ষককে জলেয়ারমার ঘাট (জে.এম. ঘাট) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের রশিদপত্র ২৭/০৩/২০১৪ইং তারিখে রশিদপত্র মূলে ৫০০০/— (পাঁচ হাজার) টাকার অনুদান প্রদান পূর্বক ১নং আসামীর সকল অপকর্ম ও ২নং আসামী কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেটটি জাল—জালিয়াতিক্রমে সৃজিত মর্মে প্রকাশ পায়।
উক্ত ১নং ও ২নং আসামী ভুয়া ও জাল—জালিয়াতক্রমে সৃজিত সার্টিফিকেট ও কৃত্রিম নিয়োগ বোর্ড গঠন করে অবৈধভাবে মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিনকে জে.এম. ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শাপলাপুর, মহেশখালী, কক্সবাজারে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসেবে যোগদানের পর হইতে গত ০১/০৬/২০১৫ইং তারিখ হইতে অদ্যবধি প্রায় ২০,০০,০০০/— (বিশ লক্ষ) টাকা মতো আত্মসাৎ করিয়াছেন।
মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিন সহকারী শিক্ষক (বাংলা) ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত চকরিয়া গ্রামার স্কুল (ঊওওঘ ঘড়—১০৬২০৫) শিক্ষকতা করেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) শিক্ষা ডাটাবেসে তিনি কর্মরত ছিলেন। (কপি সংযুক্ত)। উক্ত ২নং আসামীও বিধিবহির্ভূত ভাবে সরকারী—বেসরকারী প্রায় আনুমানিক ২০,০০,০০০/— (বিশ লক্ষ) টাকা মতো আত্মসাৎ করিয়াছেন।
১নং আসামী বিদ্যালয়ের সরকারী প্রকল্প অর্থবছর ২০১৫—১৬ অর্থায়নে এল.জি.এস.পি—২ (প্রথম পর্যায়) বরাদ্ধের ১,৪৪,৮৮২/— (এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার আটশত বিরাশি) টাকা, অর্থবছর ২০১৩—২০১৪ অর্থায়নে এল.জি.এস.পি—২ (২য় পর্যায়) সরকারী বরাদ্ধের পরিমাণ ২,২৯,৭৩৩/— (দুই লক্ষ ঊনত্রিশ হাজার সাতশত তেত্রিশ) টাকাসহ মোট ৩,৭৪,৬১৫/— (তিন লক্ষ চুয়াত্তর হাজার ছয়শত পনের) টাকা বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য জনাব মোঃ আব্দুস সালাম এমইউপি থেকে উক্ত বরাদ্ধের টাকা বুঝিয়ে নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রকল্পের কোন কাজ না করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করিয়াছেন।
১নং আসামী অর্গানাইজিং কমিটি ও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কমিটির কোন তোয়াক্কা না করিয়া জে.এম. ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নামীয় অগ্রণী ব্যাংক লিঃ হইতে ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ থেকে এপ্রিল, ২০২৩ পর্যন্ত বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে নগদে ৬,৮৮,৫০০/— (ছয় লক্ষ আটাশি হাজার পাঁচশত) টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করিয়াছেন। ইহাছাড়াও জে.এম. ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নামীয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ হইতে আসামী গত ১৭/০৮/২০২২ইং তারিখে নগদে ৪৯,০০০/— (ঊনপঞ্চাশ হাজার) টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করিয়াছেন। যাহার আজ পর্যন্ত কোন হিসাব বিবরণী নেই। উক্ত ১নং আসামী সর্বসাকুল্যে (৪০,০০,০০০+৩,২০,০০০+২১,৮৫,৫৫৭+৬,৮৮,৫০০+৪৯,০০০+২০,০০,০০০+১,৪৪,৮৮২+২,২৯,৭৩৩+)=৯৬,১৭,৬৭২/—(ছিয়ানব্বই লক্ষ সতের হাজার বাহাত্তর) টাকা এবং ২নং আসামী প্রতারণামূলকভাবে জাল সার্টিফিকেট সৃজন করিয়া সরকারী—বেসরকারীভাবে প্রায় ২০,০০,০০০/— (বিশ লক্ষ) টাকা মতো আত্মসাৎ করিয়াছেন।
উক্ত নুর মোহাম্মদ ও মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিন বিধি বহির্ভূতভাবে পরিচালিত অপরাধ কর্মকান্ড, ও আত্মসাৎ থেকে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক—কর্মচারী ও ছাত্র—ছাত্রীদের সম্মান রক্ষার্থে উক্ত নুর মোহাম্মদ ও তোয়াহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করার স্বশরীরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), কক্সবাজার কার্যালয়ে গেলে তাহারা বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ প্রদান করায় বিজ্ঞ আদালতে ফরিদুল আলম বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, কক্সবাজারে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

নাগরিক বিবেক কক্সবাজার (নাবিক) আয়োজিত সীরাত কুইজ ফাইনাল পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

শাপলাপুর জেএমঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ ও শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিন বিরুদ্ধে অবশেষে দুর্নীতি মামলা দায়ের

প্রকাশিত সময় : ০৭:৪২:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজার জেলার দ্বীপ উপজেলার মহেশখালীর শাপলাপুরস্থ জলেয়ারমার ঘাট (জে.এম. ঘাট) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য, গত ১৯৯৭ থেকে ২০১২ইং পর্যন্ত অর্গানাইজিং কমিটির সভাপতি এবং ২০১২ থেকে ২০২৪ইং পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম কর্তৃক মনোনীত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফরিদুল আলম বাদী হয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, কক্সবাজারে জে.এম. ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ ও সহকারী শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, উক্ত নুর মোহাম্মদ ও তোয়াহার উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে দূর্ণীতি ও প্রতারণামূলকভাবে কোটি কোটি টাকা অর্থ আত্মসাত করেছেন এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্বাক্ষর জাল—জালিয়াতির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হওয়ার উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, নুর মোহাম্মদ প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে বিশেষ করে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী যথাক্রমে—০১) মোঃ আব্দুর রহিম বাবু, ০২) রবিউল হাসান রুবেল, ০৩) তানজিনা সুলতানা নিহারিকা, ০৪) মোহাম্মদ শওকত, ০৫) রাশেদুল ইসলাম ফরাজি, ০৬) নুর মোহাম্মদ বাবুল এবং কৃত্রিম নিয়োগ বোর্ড গঠন করে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিনকে নিয়োগ প্রদানসহ ১নং আসামী নুর মোহাম্মদ প্রায় ৪০,০০,০০০/— (চল্লিশ লক্ষ) টাকা মতো আত্মসাৎ করিয়াছেন। উক্ত নুর মোহাম্মদ ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জলেয়ারমার ঘাট (জে.এম. ঘাট) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের রশিদপত্র মূলে সর্বসাকুল্যে অনুদান বাবদ ২১,৮৫,৫৫৭/— (একুশ লক্ষ পঁচাশি হাজার পাঁচশত সাতান্ন) টাকা প্রদান করেন। তৎমর্মে নুর মোহাম্মদ সাবেক সভাপতি ফরিদুল আলমের বরাবরে উক্ত অনুদানের টাকার স্বীকৃতি স্বরূপ গত ৩০/০৮/২০২২ইং তারিখের জে/আ/উ/বি/(মহেশ)—কক্স:/২০২২(০১) নং স্মারকে “আজীবন দাতার স্বীকৃতিপত্র” প্রদান করেন।
নুর মোহাম্মদ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে উক্ত বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মোঃ আবদুছ সালাম কর্তৃক অনুদান বাবদ প্রথম ধাপে ৩১/১২/২০২৪ইং তারিখে ১,০০,০০০/— (এক লক্ষ) টাকা ও দ্বিতীয় ধাপে ১৫/০৭/২০১৫ইং তারিখে ২,২০,০০০/— (দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকাসহ সর্বমোট ৩,২০,০০০/— (তিন লক্ষ বিশ হাজার) টাকা প্রদান করেন। যা নুর মোহাম্মদ বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা না করে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন।
নুর মোহাম্মদ জলেয়ারমার ঘাট (জে.এম. ঘাট) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্তির পর হইতে প্রধান শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে তাহার দুঃশাসন, অনিয়ম ও দূর্নীতির মহাযজ্ঞ চালিয়ে আসার এক পর্যায়ে বিগত বছরের বাদী কর্তৃক নুর মোহাম্মদকে ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জলেয়ারমার ঘাট (জে.এম. ঘাট) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের রশিদপত্র মূলে প্রদেয় সার্বসাকুল্যে অনুদান ২১,৮৫,৫৫৭/— (একুশ লক্ষ পঁচাশি হাজার পাঁচশত সাতান্ন) টাকা প্রদানের হিসাব চাহিলে নুর মোহাম্মদ গত ২০ অক্টোবর ২০২২ইং তারিখ অসুবিধার কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিস্কে, কাহারো বিনা প্ররোচনায় পদত্যাগ পূর্বক অবসর গ্রহণ করিলেও তাহার ক্ষমতা ও গায়ের জোরে অত্র বিদ্যালয়ের অফিসে রক্ষিত পূর্বের সীল এবং বাদীর স্বাক্ষর জালিয়াত করে নিজেকে গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখে “বেসরকারী সিনিয়র শিক্ষক” নিয়োগপত্র দেখিয়ে পুনরায় অত্র বিদ্যালয়ে তাহার দুঃশাসন, অনিয়ম ও দূর্নীতি অব্যাহত রেখেছেন এবং নুর মোহাম্মদকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি আর্থিক সুবিধা না দেয়, তিনি বিদ্যালয়কে ধ্বংস করে দিবেন মর্মে হুমকি—ধমকি প্রদান করেন। উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিন গত ০১ জুন ২০১৫ ইং তারিখে জে.এম.ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে যোগদান করে। যোগদান কালে যোগ্যতার প্রমাণস্বরূপ বি.এ, এইচ.এস.সি, এস.এস.সি পরীক্ষাসমূহের সার্টিফিকেট এবং ৮ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা, ২০১২ সহকারী শিক্ষক (বাংলা) সার্টিফিকেট জমা প্রদান করে এবং ৩০০/— (তিনশত) টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে প্রতিষ্ঠানকে অঙ্গীকার নামা প্রদান করেন এবং নুর মোহাম্মদ সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কমিটির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জমাকৃত সার্টিফিকেট সমূহ কোন প্রকার যাচাই—বাছাই না করিয়া তোয়াহার উদ্দিনকে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে নিয়োগ চূড়ান্ত করে। যাহা এমপিও নীতিমালা, ২০১৩ লঙ্ঘন করে নুর মোহাম্মদ যখন যাকে ইচ্ছা নিয়োগ প্রদান করেন এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে বোকা বানিয়ে স্বাক্ষর আদায়ের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল ব্যবহার করেন।
বিগত ২০২৩ সালে জাতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেশব্যাপী শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির বিষয় প্রকাশ পায়। তৎপ্রেক্ষিতে জে.এম.ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকসহ ২নং আসামীর এনটিআরসিএ নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের জন্য কর্তৃপক্ষের বরাবরে চিঠি প্রেরণ করা হলে, ঘঞজঈঅ এর সহকারী পরিচালক (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন—১) জনাব ফিরোজ আহমেদ বিগত ২৯/০২/২০২৪ ইং তারিখের ৩৭.০৫.০০০.০১০.০৫.০০১.২৪.৪৯৩ নং স্মারকমূলে প্রেরিত চিঠিতে জানান যে, “২০১২ সালের ৮ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ৩০৪০৫৯০২ রোল নম্বর সম্বলিত গড়যধসসবফ ঞঁধযধৎ টফফরহ, পিতা— খধঃব অষর ঐড়ংংধরহ, মাতা— গধৎরঁস ইবমঁস এর দাখিলকৃত প্রত্যয়নপত্রটির সাথে এ প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষিত ফলাফলে মিল না থাকায় প্রতিয়মান হয় প্রত্যয়নপত্রটি জাল ও ভুঁয়া।” উক্ত চিঠিতে “বর্ণিত প্রত্যয়নপত্রধারী ব্যক্তি রেকর্ডপত্রদৃষ্টে জাল/জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন মর্মে দলিলদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়েছে। উক্ত জাল ও ভুঁয়া প্রত্যয়নপত্রধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে থানায় মামলা দায়েরপূর্বক অত্রাফিসকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।”
শিক্ষক তোয়াহার উদ্দিনকে উক্তরূপ জালিয়াতির বিষয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এর সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হইলে, কাওছার আহমেদ, সহকারী পরিচালক (মা.উইং) স্বাক্ষরিত বিগত ২৮/০৩/২০২৪ ইং তারিখের ৪৩৭.৩৭.০২.০০০. ১০৭.৩১.৪৩৭. ২০২৩.৬৩৭ নং স্মারকমূলে ২নং আসামীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।
পরবর্তীতে জে.এম. ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক—কর্মচারী ও ছাত্র—ছাত্রীদের পড়ালেখার মানোন্নয়নে যেন ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় তৎজন্য সরকারী বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পূর্বক ম্যানেজিং কমিটি ও নিয়োগ কমিটির পরীক্ষা মারফত ১৪ বছরের শিক্ষাকতা পেশায় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি বাছাইক্রমে ৫নং স্বাক্ষী জনাব মোহাম্মদ কায়চার লিটনকে প্রধান শিক্ষক পদে চূড়ান্ত করেন। তৎপরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে জনাব মোহাম্মদ কায়চার লিটন গত ১৯/০১/২০২৩ইং তারিখে অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। উক্ত ৫নং স্বাক্ষী জনাব মোহাম্মদ কায়চার লিটন অত্র বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর প্রধান শিক্ষককে জলেয়ারমার ঘাট (জে.এম. ঘাট) আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের রশিদপত্র ২৭/০৩/২০১৪ইং তারিখে রশিদপত্র মূলে ৫০০০/— (পাঁচ হাজার) টাকার অনুদান প্রদান পূর্বক ১নং আসামীর সকল অপকর্ম ও ২নং আসামী কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষক নিবন্ধন সার্টিফিকেটটি জাল—জালিয়াতিক্রমে সৃজিত মর্মে প্রকাশ পায়।
উক্ত ১নং ও ২নং আসামী ভুয়া ও জাল—জালিয়াতক্রমে সৃজিত সার্টিফিকেট ও কৃত্রিম নিয়োগ বোর্ড গঠন করে অবৈধভাবে মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিনকে জে.এম. ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শাপলাপুর, মহেশখালী, কক্সবাজারে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) হিসেবে যোগদানের পর হইতে গত ০১/০৬/২০১৫ইং তারিখ হইতে অদ্যবধি প্রায় ২০,০০,০০০/— (বিশ লক্ষ) টাকা মতো আত্মসাৎ করিয়াছেন।
মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিন সহকারী শিক্ষক (বাংলা) ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত চকরিয়া গ্রামার স্কুল (ঊওওঘ ঘড়—১০৬২০৫) শিক্ষকতা করেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) শিক্ষা ডাটাবেসে তিনি কর্মরত ছিলেন। (কপি সংযুক্ত)। উক্ত ২নং আসামীও বিধিবহির্ভূত ভাবে সরকারী—বেসরকারী প্রায় আনুমানিক ২০,০০,০০০/— (বিশ লক্ষ) টাকা মতো আত্মসাৎ করিয়াছেন।
১নং আসামী বিদ্যালয়ের সরকারী প্রকল্প অর্থবছর ২০১৫—১৬ অর্থায়নে এল.জি.এস.পি—২ (প্রথম পর্যায়) বরাদ্ধের ১,৪৪,৮৮২/— (এক লক্ষ চুয়াল্লিশ হাজার আটশত বিরাশি) টাকা, অর্থবছর ২০১৩—২০১৪ অর্থায়নে এল.জি.এস.পি—২ (২য় পর্যায়) সরকারী বরাদ্ধের পরিমাণ ২,২৯,৭৩৩/— (দুই লক্ষ ঊনত্রিশ হাজার সাতশত তেত্রিশ) টাকাসহ মোট ৩,৭৪,৬১৫/— (তিন লক্ষ চুয়াত্তর হাজার ছয়শত পনের) টাকা বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য জনাব মোঃ আব্দুস সালাম এমইউপি থেকে উক্ত বরাদ্ধের টাকা বুঝিয়ে নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রকল্পের কোন কাজ না করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করিয়াছেন।
১নং আসামী অর্গানাইজিং কমিটি ও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কমিটির কোন তোয়াক্কা না করিয়া জে.এম. ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নামীয় অগ্রণী ব্যাংক লিঃ হইতে ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ থেকে এপ্রিল, ২০২৩ পর্যন্ত বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে নগদে ৬,৮৮,৫০০/— (ছয় লক্ষ আটাশি হাজার পাঁচশত) টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করিয়াছেন। ইহাছাড়াও জে.এম. ঘাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নামীয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ হইতে আসামী গত ১৭/০৮/২০২২ইং তারিখে নগদে ৪৯,০০০/— (ঊনপঞ্চাশ হাজার) টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ করিয়াছেন। যাহার আজ পর্যন্ত কোন হিসাব বিবরণী নেই। উক্ত ১নং আসামী সর্বসাকুল্যে (৪০,০০,০০০+৩,২০,০০০+২১,৮৫,৫৫৭+৬,৮৮,৫০০+৪৯,০০০+২০,০০,০০০+১,৪৪,৮৮২+২,২৯,৭৩৩+)=৯৬,১৭,৬৭২/—(ছিয়ানব্বই লক্ষ সতের হাজার বাহাত্তর) টাকা এবং ২নং আসামী প্রতারণামূলকভাবে জাল সার্টিফিকেট সৃজন করিয়া সরকারী—বেসরকারীভাবে প্রায় ২০,০০,০০০/— (বিশ লক্ষ) টাকা মতো আত্মসাৎ করিয়াছেন।
উক্ত নুর মোহাম্মদ ও মুহাম্মদ তোয়াহার উদ্দিন বিধি বহির্ভূতভাবে পরিচালিত অপরাধ কর্মকান্ড, ও আত্মসাৎ থেকে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক—কর্মচারী ও ছাত্র—ছাত্রীদের সম্মান রক্ষার্থে উক্ত নুর মোহাম্মদ ও তোয়াহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করার স্বশরীরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), কক্সবাজার কার্যালয়ে গেলে তাহারা বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ প্রদান করায় বিজ্ঞ আদালতে ফরিদুল আলম বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, কক্সবাজারে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে।