০৫:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুমধুম-তুমব্রু-জলপাইতলী-মধ্যমপাড়া সীমান্ত দিয়ে পাচার: গাড়ি-গাড়ি যাচ্ছে পণ্যসামগ্রী

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু-ঘুমধুম-জলপাইতলী,মধ্যম পাড়া পয়েন্ট দিয়ে উভয় মুখী পাচারযজ্ঞ চলছে হরদম।প্রতিদিন রাতের আধারে মিয়ানমারে পাচার করছে কোটি টাকার বিবিধ পণ্য সামগ্রী।সবচেয়ে পাচারের নিরাপদ রুট ঘুমধুম সীমান্ত।দিবারাত্রি কোটি টাকার নানা পণ্য সামগ্রী পাচার হয়ে গেলেও রক্ষকরাইও বসে নেই।প্রায় জব্দের তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে।আবার অনেক ক্ষেত্রে সব কিছুতেই টাকার জোরে নির্বিঘ্ন পাচারযজ্ঞও চালিয়ে যাচ্ছে চোরাকারবারিরা।প্রতিরাতে ঘুমধুম সীমান্তে পাচার করা বিভিন্ন পণ্যের শ্রমিক পিছু টাকা উত্তোলন করা হয়।ওই টাকা বিভিন্ন সংস্থার কতিপয় কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা,স্থানীয় প্রশাসনের দালাল সহ বিভিন্ন জনের পকেটে পৌছে যায়।ফলে চোরাকারবারিদের কালো টাকার জোরে ঘুমধুম সীমান্ত যেন তাদের পাচার ও অবাধ বিচরণের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সীমান্ত।

প্রতি দিবারাত্রি ওপারে বানের পানির মত পাচার হচ্ছে সরকারের ভর্তুকি দেয়া ইউরিয়া সার, জ্বালানী তেল অকটেন,দামী মোবাইল সেট,সিম,মোবাইল সামগ্রী,ব্লেড,ভোজ্য তেল,চাল,ডাল,শাকসবজি,গাছ,বাঁশ,সাবান, মরিচ,হলুদ, বিস্কিট,কাপড়, ত্রিফল সহ চাহিদার সব সামগ্রী।বিনিময়ে ওপার থেকে বানের পানির মত নিয়ে আসছে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া গরু-মহিষ,ছাগল,ইয়াবা,স্বর্ণের বার,তরল মাদক,কাপড়চোপড়, সুপারী,খাদ্যপণ্য,রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করা সহ নিষিদ্ধ সামগ্রী। এসব পাচার যজ্ঞে জড়িত রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট।চিহ্নিত এই সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন ইয়াবা নিয়ে ২০২১ সালে কক্সবাজারে র‍্যাব-১৫’র হাতে গ্রেফতার হওয়া ঘুমধুম ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের তুমব্রু পশ্চিমকুল তেঁতুল গাছতলা লতিফিয়া মসজিদ সংলগ্ন ছৈয়দ আলম-সোনা মেহের দম্পতির ছেলে জকির আহমদ।জকিরের নিয়ন্ত্রণে ঘুমধুমের সীমান্তের সব পাচারযজ্ঞ চলে।তার বাড়ি থেকেও একাধিকবার পাচারের জন্য মজুদ করা বিবিধ পণ্য সামগ্রী জব্দ করেন বিজিবি ।

তার চোরাকারবারের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু বক্কর ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন,সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে ফের নেমে পড়েছেন চোরাকারবারে।তার সিন্ডিকেটে রয়েছে ডাম্প ট্রাক, সিএনজি,টমটম চালক,মুক্তিযুদ্ধার নাতি, ঘুমধুমের মধ্যম পাড়ার ছাত্রলীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধার নাতি কামরুল হাসান সোহেল।তুমব্রু সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করছেন পাহাড় পাড়ার জনৈক জামান-বদি তাঁরা দুই ভাই,রয়েছেন আলমগীর-জাহাঙ্গীর দুইভাই,মুফিজ,মিজান, একরাম,আলী আহমদ,ক্যাম্প পাড়ার নুরুল ইসলাম খোকন,তুমব্রুর জকির, পশিচমকুলের রুহুল আমীন,রোহিঙ্গা আবসার,ঘুমধুমের মধ্যম পাড়ার মুক্তিযুদ্ধার নাতি,ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান সোহেল,বাবুল ও মঞ্জুর,বশির প্রমুখ।পুরো ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে এপার থেকে পাচার এবং ওপার থেকে এপারে যতসব পাচার যজ্ঞ চলে,তা সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রণ করেন চোরাকারবার সিন্ডিকেটের প্রধান জকির আহমদ।এই সিন্ডিকেটের পাচারের উদ্দেশ্যে মজুত করে রাখা একাধিকবার পণ্য সামগ্রী জকির ও তার ভাইয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় রক্ষী বাহিনী।কিন্তু পাচারকারিরা বরাবরই অধরাই থেকে যায়।ফলে চোরাকারবারিরা চোরাই মালামালের পাচার যজ্ঞ দ্ধিগুণ উৎসাহে চলমান রেখেছে।ওই পাচারকারী সিন্ডিকেটের সুবিধাভোগী হিসেবে নিয়মিত অর্থ পেয়ে এবং সুবিধা নিয়ে থাকেন স্থানীয় পর্যায়ের কয়েকজন নেতা এবং স্থানীয় এক ইউপি মেম্বার।

আর বিভিন্ন সংস্থার নামে পাচার করা বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর বস্তা প্রতি টাকা উত্তোলন করেন জকির আহমদ।ওইসব টাকা নাকি যেখানে, যেভাবে দিতে হয়,সেভাবে পৌছেই দেন।সব কিছু মিডিয়া করেন জকির আহমদ।একাধিক গোয়েন্দাকর্মীর তালিকায় জকির আহমদ চোরাকারবারি হিসেবে চিহ্নিত হলেও প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় রহস্যের দানা বাধছে।ফলে পাচারযজ্ঞ থেমে নেই।প্রতি দিবারাত্রি ঘুমধুম-তুমব্রু আর্মি সড়ক ও বাংলাদেশ-মিয়ামার মৈত্রী সড়ক দিয়ে বিভিন্ন গাড়ী যোগে নিয়ে যাওয়া মালামাল জলপাইতলীর লেডুর আমবাগান পয়েন্ট দিয়ে পাচার হচ্ছে এপারে। আর ওপার থেকে নিয়ে আসছে ইয়াবার বড়-বড় চালান,স্বর্ণের চালান,গরু-মহিষের চালান।

সম্প্রতি ঘুমধুমের মধ্যম পাড়া দিয়ে পাচার হয়ে আসার পথে একটি স্বর্ণের বার ও ইয়াবার চালান ছিনতাই করে চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সদস্যরা।এদিকে সাম্প্রতি সময়ে ঘুমধুম সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে পাচার হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশের পথে দুই লাখ পিস ইয়াবার একটি চালান জব্দ করেছে বিজিবি।এরপর একাধিকবার ইয়াবা,সার ও বিবিধ পণ্য জব্দ করেছে তুমব্রু-ঘুমধুম বিওপির বিজিবি সদস্যরা।ইতিপূর্বে তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকা থেকে মুদির দোকানী রুহুল আমীনের হেফাজতে মিয়ানমারে পাচার জন্য মজুদ করা বেশ কিছু পণ্য সামগ্রী জব্দ করেছে বিজিবি।এদিকে ঘুমধুমের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে উভয় মুখী পাচার যজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে চোরাকারবারিরা।প্রকাশ্য দিবালোকে পাচার অব্যাহত থাকায় চোরাকারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।যেনো ঘুমধুম সীমান্ত তাদের বাপ-দাদার সম্পদ।স্থানীয় যুবক শাহজারুল ইসলাম তৌহিদ তার ফেসবুক একাউন্টে লিখেছেন পাচারের বিষয়ে।মিয়ানমারে পাচার হওয়া মালামালের প্রতি বস্তায় নাকি বিভিন্ন জায়গায় খরচ দিতে হয়।পাচারকারী সিন্ডিকেটের প্রধান নাকি বলে বেড়াচ্ছেন,তার পাচারের মালামাল কোন সংস্থা ধরলেও বাড়িতে পৌছে দিতে হবে।

এমন খবর শোনার পর তৌহিদ ফেসবুকে পোস্ট দেন চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী মাঝে-মধ্যে অল্প কিছু চোরাই মালামাল কোন সংস্থা জব্দ করে সরকারী কোষাগারে জমা দিলেও চিহ্নিত চোরাকারবারিরা বরাবরই অধরাই থেকে যাওয়ায়, তারা আইনের আওতায় না আসায় পাচার যজ্ঞ বন্ধ হচ্ছেনা।ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ধর্মজিৎ সিংহা বলেছেন,পাচার ঠেকাতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় রয়েছে।এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে কাটা তার ডিঙ্গিয়ে গাড়ী-গাড়ী, শত-শত লেভার পণ্য সামগ্রী মিয়ানমারে পাচার করলেও প্রতিরোধে কারো ভুমিকা লক্ষণীয় নয়।সবার মুখ বন্ধ।মিয়ানমারে পাচারযজ্ঞ অব্যাহত থাকায় নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া,টেকনাফের বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্য আকাশচুম্বী।যে হারে পাচার হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে সংকটে পড়ার আশংকা রয়েছে।সচেতন দেশপ্রেমিক জনতার প্রশ্ন ঘুমধুম সীমান্ত রক্ষায় কি কোন দেশপ্রেমিক রক্ষক,জনপ্রতিনিধি ও নেতা নেই?।ঘুমধুম-তুমব্রু আর্মি সড়ক,কাস্টমস মৈত্রী সড়ক,বালুখালীর কাকঁড়া ব্রীজ ও ঘুমধুম ইউপি’র ৬ নং ওয়ার্ডের বড়ুয়া পাড়া ড্রাগন বাগান সড়ক দিয়ে প্রতি দিন ও রাতে গাড়ি-গাড়ি ইউরিয়া সার ও নানাবিধ পণ্য সামগ্রী বোঝাই গাড়ী মিয়ানমারে পাচার উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলেও রহস্যজনক ভুমিকায় রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। কবে নাগাদ পাচার বন্ধ হবে কেউ জানেন না।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত

ঘুমধুম-তুমব্রু-জলপাইতলী-মধ্যমপাড়া সীমান্ত দিয়ে পাচার: গাড়ি-গাড়ি যাচ্ছে পণ্যসামগ্রী

প্রকাশিত সময় : ০৯:২৪:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু-ঘুমধুম-জলপাইতলী,মধ্যম পাড়া পয়েন্ট দিয়ে উভয় মুখী পাচারযজ্ঞ চলছে হরদম।প্রতিদিন রাতের আধারে মিয়ানমারে পাচার করছে কোটি টাকার বিবিধ পণ্য সামগ্রী।সবচেয়ে পাচারের নিরাপদ রুট ঘুমধুম সীমান্ত।দিবারাত্রি কোটি টাকার নানা পণ্য সামগ্রী পাচার হয়ে গেলেও রক্ষকরাইও বসে নেই।প্রায় জব্দের তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে।আবার অনেক ক্ষেত্রে সব কিছুতেই টাকার জোরে নির্বিঘ্ন পাচারযজ্ঞও চালিয়ে যাচ্ছে চোরাকারবারিরা।প্রতিরাতে ঘুমধুম সীমান্তে পাচার করা বিভিন্ন পণ্যের শ্রমিক পিছু টাকা উত্তোলন করা হয়।ওই টাকা বিভিন্ন সংস্থার কতিপয় কর্মকর্তা,জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা,স্থানীয় প্রশাসনের দালাল সহ বিভিন্ন জনের পকেটে পৌছে যায়।ফলে চোরাকারবারিদের কালো টাকার জোরে ঘুমধুম সীমান্ত যেন তাদের পাচার ও অবাধ বিচরণের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সীমান্ত।

প্রতি দিবারাত্রি ওপারে বানের পানির মত পাচার হচ্ছে সরকারের ভর্তুকি দেয়া ইউরিয়া সার, জ্বালানী তেল অকটেন,দামী মোবাইল সেট,সিম,মোবাইল সামগ্রী,ব্লেড,ভোজ্য তেল,চাল,ডাল,শাকসবজি,গাছ,বাঁশ,সাবান, মরিচ,হলুদ, বিস্কিট,কাপড়, ত্রিফল সহ চাহিদার সব সামগ্রী।বিনিময়ে ওপার থেকে বানের পানির মত নিয়ে আসছে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া গরু-মহিষ,ছাগল,ইয়াবা,স্বর্ণের বার,তরল মাদক,কাপড়চোপড়, সুপারী,খাদ্যপণ্য,রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করা সহ নিষিদ্ধ সামগ্রী। এসব পাচার যজ্ঞে জড়িত রয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট।চিহ্নিত এই সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন ইয়াবা নিয়ে ২০২১ সালে কক্সবাজারে র‍্যাব-১৫’র হাতে গ্রেফতার হওয়া ঘুমধুম ইউপি’র ১নং ওয়ার্ডের তুমব্রু পশ্চিমকুল তেঁতুল গাছতলা লতিফিয়া মসজিদ সংলগ্ন ছৈয়দ আলম-সোনা মেহের দম্পতির ছেলে জকির আহমদ।জকিরের নিয়ন্ত্রণে ঘুমধুমের সীমান্তের সব পাচারযজ্ঞ চলে।তার বাড়ি থেকেও একাধিকবার পাচারের জন্য মজুদ করা বিবিধ পণ্য সামগ্রী জব্দ করেন বিজিবি ।

তার চোরাকারবারের সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু বক্কর ইয়াবা সহ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন,সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে ফের নেমে পড়েছেন চোরাকারবারে।তার সিন্ডিকেটে রয়েছে ডাম্প ট্রাক, সিএনজি,টমটম চালক,মুক্তিযুদ্ধার নাতি, ঘুমধুমের মধ্যম পাড়ার ছাত্রলীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধার নাতি কামরুল হাসান সোহেল।তুমব্রু সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করছেন পাহাড় পাড়ার জনৈক জামান-বদি তাঁরা দুই ভাই,রয়েছেন আলমগীর-জাহাঙ্গীর দুইভাই,মুফিজ,মিজান, একরাম,আলী আহমদ,ক্যাম্প পাড়ার নুরুল ইসলাম খোকন,তুমব্রুর জকির, পশিচমকুলের রুহুল আমীন,রোহিঙ্গা আবসার,ঘুমধুমের মধ্যম পাড়ার মুক্তিযুদ্ধার নাতি,ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসান সোহেল,বাবুল ও মঞ্জুর,বশির প্রমুখ।পুরো ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমারে এপার থেকে পাচার এবং ওপার থেকে এপারে যতসব পাচার যজ্ঞ চলে,তা সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রণ করেন চোরাকারবার সিন্ডিকেটের প্রধান জকির আহমদ।এই সিন্ডিকেটের পাচারের উদ্দেশ্যে মজুত করে রাখা একাধিকবার পণ্য সামগ্রী জকির ও তার ভাইয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় রক্ষী বাহিনী।কিন্তু পাচারকারিরা বরাবরই অধরাই থেকে যায়।ফলে চোরাকারবারিরা চোরাই মালামালের পাচার যজ্ঞ দ্ধিগুণ উৎসাহে চলমান রেখেছে।ওই পাচারকারী সিন্ডিকেটের সুবিধাভোগী হিসেবে নিয়মিত অর্থ পেয়ে এবং সুবিধা নিয়ে থাকেন স্থানীয় পর্যায়ের কয়েকজন নেতা এবং স্থানীয় এক ইউপি মেম্বার।

আর বিভিন্ন সংস্থার নামে পাচার করা বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর বস্তা প্রতি টাকা উত্তোলন করেন জকির আহমদ।ওইসব টাকা নাকি যেখানে, যেভাবে দিতে হয়,সেভাবে পৌছেই দেন।সব কিছু মিডিয়া করেন জকির আহমদ।একাধিক গোয়েন্দাকর্মীর তালিকায় জকির আহমদ চোরাকারবারি হিসেবে চিহ্নিত হলেও প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় রহস্যের দানা বাধছে।ফলে পাচারযজ্ঞ থেমে নেই।প্রতি দিবারাত্রি ঘুমধুম-তুমব্রু আর্মি সড়ক ও বাংলাদেশ-মিয়ামার মৈত্রী সড়ক দিয়ে বিভিন্ন গাড়ী যোগে নিয়ে যাওয়া মালামাল জলপাইতলীর লেডুর আমবাগান পয়েন্ট দিয়ে পাচার হচ্ছে এপারে। আর ওপার থেকে নিয়ে আসছে ইয়াবার বড়-বড় চালান,স্বর্ণের চালান,গরু-মহিষের চালান।

সম্প্রতি ঘুমধুমের মধ্যম পাড়া দিয়ে পাচার হয়ে আসার পথে একটি স্বর্ণের বার ও ইয়াবার চালান ছিনতাই করে চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সদস্যরা।এদিকে সাম্প্রতি সময়ে ঘুমধুম সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে পাচার হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশের পথে দুই লাখ পিস ইয়াবার একটি চালান জব্দ করেছে বিজিবি।এরপর একাধিকবার ইয়াবা,সার ও বিবিধ পণ্য জব্দ করেছে তুমব্রু-ঘুমধুম বিওপির বিজিবি সদস্যরা।ইতিপূর্বে তুমব্রু পশ্চিমকুল এলাকা থেকে মুদির দোকানী রুহুল আমীনের হেফাজতে মিয়ানমারে পাচার জন্য মজুদ করা বেশ কিছু পণ্য সামগ্রী জব্দ করেছে বিজিবি।এদিকে ঘুমধুমের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে উভয় মুখী পাচার যজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে চোরাকারবারিরা।প্রকাশ্য দিবালোকে পাচার অব্যাহত থাকায় চোরাকারবারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।যেনো ঘুমধুম সীমান্ত তাদের বাপ-দাদার সম্পদ।স্থানীয় যুবক শাহজারুল ইসলাম তৌহিদ তার ফেসবুক একাউন্টে লিখেছেন পাচারের বিষয়ে।মিয়ানমারে পাচার হওয়া মালামালের প্রতি বস্তায় নাকি বিভিন্ন জায়গায় খরচ দিতে হয়।পাচারকারী সিন্ডিকেটের প্রধান নাকি বলে বেড়াচ্ছেন,তার পাচারের মালামাল কোন সংস্থা ধরলেও বাড়িতে পৌছে দিতে হবে।

এমন খবর শোনার পর তৌহিদ ফেসবুকে পোস্ট দেন চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী মাঝে-মধ্যে অল্প কিছু চোরাই মালামাল কোন সংস্থা জব্দ করে সরকারী কোষাগারে জমা দিলেও চিহ্নিত চোরাকারবারিরা বরাবরই অধরাই থেকে যাওয়ায়, তারা আইনের আওতায় না আসায় পাচার যজ্ঞ বন্ধ হচ্ছেনা।ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ধর্মজিৎ সিংহা বলেছেন,পাচার ঠেকাতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় রয়েছে।এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে কাটা তার ডিঙ্গিয়ে গাড়ী-গাড়ী, শত-শত লেভার পণ্য সামগ্রী মিয়ানমারে পাচার করলেও প্রতিরোধে কারো ভুমিকা লক্ষণীয় নয়।সবার মুখ বন্ধ।মিয়ানমারে পাচারযজ্ঞ অব্যাহত থাকায় নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া,টেকনাফের বাজারে প্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্য আকাশচুম্বী।যে হারে পাচার হচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে সংকটে পড়ার আশংকা রয়েছে।সচেতন দেশপ্রেমিক জনতার প্রশ্ন ঘুমধুম সীমান্ত রক্ষায় কি কোন দেশপ্রেমিক রক্ষক,জনপ্রতিনিধি ও নেতা নেই?।ঘুমধুম-তুমব্রু আর্মি সড়ক,কাস্টমস মৈত্রী সড়ক,বালুখালীর কাকঁড়া ব্রীজ ও ঘুমধুম ইউপি’র ৬ নং ওয়ার্ডের বড়ুয়া পাড়া ড্রাগন বাগান সড়ক দিয়ে প্রতি দিন ও রাতে গাড়ি-গাড়ি ইউরিয়া সার ও নানাবিধ পণ্য সামগ্রী বোঝাই গাড়ী মিয়ানমারে পাচার উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলেও রহস্যজনক ভুমিকায় রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। কবে নাগাদ পাচার বন্ধ হবে কেউ জানেন না।