কক্সবাজার কুতুবদিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত এক হিন্দু নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। গত রোববার (১৩ অক্টোবর) উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের খুইল্যার পাড়া গ্রামের অর্জুন দাশের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।ভিকটিম চম্পা দাশ (ছদ্মনাম) ধূরুং আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের ৬ ষষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষার্থী।
এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করলে ভিকটিমের মা মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) কুতুবদিয়া থানায় এস্তাফ মাঝি নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে মায়ের অনুপস্থিতিতে বাড়িতে একা থাকা এক কিশোরীকে এস্তাপ মাঝি নামে এক যুবক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা-মা, যারা চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে কর্মরত, থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী কিশোরী মায়ের ফুফুর বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করত। ছাত্রীর চিৎকারে এলাকাবাসী দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।মামলার বাদী লাকী দাশ জানান, আমার মেয়েকে একা পেয়ে এস্তাফ মাঝি ধর্ষণের চেষ্টা করেছে কুতুবদিয়া থানায় আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। আসামীকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রীর এক নিকট আত্মীয় জানান, এস্তাপ মাঝি একজন চরিত্রহীন লোক এর আগেও সে হিন্দু মহিলার সাথে একই অপরাধ করেছে, তার বিচার না হওয়ায় সে বারবার একই অপরাধ করে যাচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই ছাত্রীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছে বলে জানান।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রীর সাথে আমি কথা বলেছি, তাকে একা মেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে, এস্তাপ মাঝি এর আগেও এক হিন্দু মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। ভিকটিমের পরিবারকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। নিজে উপস্থিত হয়ে থানায় মামলা দায়ের করতে সহযোগিতা করেছি বলে জানান তিনি।
উত্তর ধূরুং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম সিকদার বলেন, ঘটনাটি গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে শুনার পর কুতুবদিয়া থানার ওসিকে অবহিত করেছি, ওসি পুলিশ পাঠিয়েছে, এটা হিন্দু নেতারাসহ স্থানীয়রা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে শুনেছি।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরমান হোসেন জানান, ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মা লাকী দাশ বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছে, এজাহারটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করে আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।