০১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ’লীগ-জাপাসহ ১১ দলের কার্যক্রম নিয়ে করা রিট প্রত্যাহার

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ (এরশাদ) ১১টি রাজনৈতিক দলকে কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে এবং আওয়ামী লীগ আমলের তিন জাতীয় নির্বাচন বাতিল চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী আহসানুল করীম। এরপর আদালত দুটি রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব। আইনজীবী জানান, আওয়ামী লীগসহ ১১ দলকে রাজনৈতিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখতে দায়ের করা দুটি রিট না চালানোর কথা জানিয়েছেন সমন্বয়করা।

এর আগে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ও মো. হাসিবুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল হক রিট দুটি করেন।

এরপর আজ সার্জিস আলম ও হাসনাতরা রিট চালাবেন না বলে আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

রিটে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপিসহ ১১টি দলকে কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এ বিষয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানানো হয় রিটে। এছাড়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে অন্য একটি রিটও করেন তারা।

রিটে আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। রিট আবেদনে নির্বিচার মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অভিযোগ আনা হয়েছিল দলগুলোর বিরুদ্ধে।
এক রিটে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

একই সঙ্গে ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল জারির আবেদন করা হয় রিটে।

অপর রিটে আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববর্হিভূত হবে না, ওই তিনটি নির্বোচনের পর জারি করা গেজেট কেন বাতিল করা হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

রিটে ওই তিন নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়ে প্লট বরাদ্দ পাওয়া, ডিউটি ফ্রি গাড়ি আমদানিতে কাস্টম বেনিফিটসহ প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বাতিলে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না সেই মর্মেও রুল জারির আবেদন করা হয়।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

জমে উঠেছে বৃহত্তর বাদশাঘোনা সমাজ পরিচালনা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা

আ’লীগ-জাপাসহ ১১ দলের কার্যক্রম নিয়ে করা রিট প্রত্যাহার

প্রকাশিত সময় : ০৮:০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ (এরশাদ) ১১টি রাজনৈতিক দলকে কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে এবং আওয়ামী লীগ আমলের তিন জাতীয় নির্বাচন বাতিল চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছেন আইনজীবী আহসানুল করীম। এরপর আদালত দুটি রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।

এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব। আইনজীবী জানান, আওয়ামী লীগসহ ১১ দলকে রাজনৈতিক কার্যক্রম ও ভবিষ্যতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখতে দায়ের করা দুটি রিট না চালানোর কথা জানিয়েছেন সমন্বয়করা।

এর আগে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ও মো. হাসিবুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল হক রিট দুটি করেন।

এরপর আজ সার্জিস আলম ও হাসনাতরা রিট চালাবেন না বলে আইনজীবী আহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

রিটে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরীকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপিসহ ১১টি দলকে কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এ বিষয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানানো হয় রিটে। এছাড়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে অন্য একটি রিটও করেন তারা।

রিটে আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। রিট আবেদনে নির্বিচার মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের অভিযোগ আনা হয়েছিল দলগুলোর বিরুদ্ধে।
এক রিটে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

একই সঙ্গে ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে দলগুলোকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল জারির আবেদন করা হয় রিটে।

অপর রিটে আওয়ামী লীগের অধীনে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববর্হিভূত হবে না, ওই তিনটি নির্বোচনের পর জারি করা গেজেট কেন বাতিল করা হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।

রিটে ওই তিন নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়ে প্লট বরাদ্দ পাওয়া, ডিউটি ফ্রি গাড়ি আমদানিতে কাস্টম বেনিফিটসহ প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বাতিলে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না সেই মর্মেও রুল জারির আবেদন করা হয়।