০৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ত্বকের রং পরিবর্তন কঠিন রোগের ইঙ্গিত নয় তো?

ত্বকের রং পরিবর্তন হওয়া মোটেই স্বাভাবিক নয়। হঠাৎ করেই ত্বকের রং কালো হয়ে যাওয়া বা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া কঠিন রোগের লক্ষণ হতে পারে। শরীরের রক্ত জমাট বাঁধার অন্যতম এক লক্ষণ ত্বকের রং পরিবর্তন হওয়া। তবে শরীরের জন্য রক্ত জমাট বাঁধা যেমন জরুরি, তেমনই অতিরিক্ত রক্ত যদি শিরায় জমাট বেঁধে যায় তা কিন্তু শরীরের জন্য মারাত্মক হতে পারে।

হঠাৎ করে কোথাও কেটে গেলে সেখান থেকে দ্রুত রক্তপাত বন্ধ করাটাও জরুরি। তবে সেই রক্ত যদি হঠাৎ হঠাৎ শরীরে জমাট বাঁধতে শুরু করে তাহলেই বিপত্তি। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, প্রতিবছর অন্তত ১ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় এই শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণে। ক্যানসারে আক্রান্তদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ হলো এই শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। তাই শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কারণ ও লক্ষণ সবারই জেনে রাখা জরুরি।

রক্ত জমাট বাঁধার অন্যতম কারণ হলো ধূমপান ও উচ্চ রক্তচাপ। যা নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে। অনেকের ক্ষেত্রে গুরুতর কোনো অসুখও হতে পারে এই শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণ।

অনেক ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেনের মতো কিছু ওষুধও বাড়িয়ে দেয় রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি। আর তাই ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার আগে কয়েকটি লক্ষণ আছে, যা জেনে রাখা জরুরি-

রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ কী কী?
সাধারণত রক্ত পায়েই জমে বেশি। তখন পায়ের টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রক্ত জমাট বাঁধা বিশেষ কোনো সংকেত দেয় না। তবে মস্তিষ্কে যদি রক্তজমাট বাঁধতে শুরু করে তা কিন্তু মুশকিল।

রক্তজমাট বাঁধার সমস্যা হলে প্রথমেই যে উপসর্গ দেখা দেয় তা হলো শ্বাসকষ্ট। সামান্য কাজ করলেই হাঁপিয়ে যাওয়া, ক্লান্তি, ঘাম, শ্বাসকষ্ট, মাথাঘোরা এসব খুব সাধারণ লক্ষণ। সারাক্ষণ বিশ্রামের পরও যদি এই ক্লান্তি শরীরে থেকে যায় তাহলে সাবধান। হতে পারে বড় কোনো বিপদ।

শরীরে যদি ফোলাভাব থাকে বিশেষত পায়ে, একই সঙ্গে পায়ের ত্বকের রং পরিবর্তন, তাপমাত্রার পরিবর্তনও এর জন্য দায়ী। শরীরে সব সময় যদি হালকা তাপমাত্রা থাকে তাহলে তা হল ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের লক্ষণ।

সেই সঙ্গে ত্বকের গভীরে যদি কোনো ক্ষত হয় সেই সঙ্গে শরীরের কোষে রক্ত পৌঁছাতে যদি অসুবিধা হয়, তাহলে আগে থাকতেই সাবধান। যদি শরীরের নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় ফোলাভাব থাকে ও জায়গাটি গরম থাকে তাহলে যতদ্রুত সম্ভব চেকআপ করান।

অনেক সময় শরীরের ডিটক্সিফিকেশন না হলে সেখান থেকেও রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যা হতে পারে। আবার শরীরের কোথাও গভীর আঘাত পেলে কিংবা মস্তিষ্কে আঘাত পেলে সেখান থেকেও শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা হয়।

মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত না পৌঁছালে, রক্ত, জমাট বাঁধলে সেখান থেকে মাথা ঘোরা, দেখতে না পাওয়া, কথা বলতে অসুবিধে, স্মৃতিভ্রম এমন নানা সমস্যা হতে পারে। এমনকি খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া থেকে যায় গুরুত্বর স্নায়বিক জটিলতারও। তাই অস্বাভাবিক কোনো কিছু অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান ও দ্রুত চিকিৎসা শুরু করুন।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

বৈরুতে দফায় দফায় বিস্ফোরণ, আরও ৬ মেডিক্যাল কর্মী নিহত

ত্বকের রং পরিবর্তন কঠিন রোগের ইঙ্গিত নয় তো?

প্রকাশিত সময় : ০৮:২২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

ত্বকের রং পরিবর্তন হওয়া মোটেই স্বাভাবিক নয়। হঠাৎ করেই ত্বকের রং কালো হয়ে যাওয়া বা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া কঠিন রোগের লক্ষণ হতে পারে। শরীরের রক্ত জমাট বাঁধার অন্যতম এক লক্ষণ ত্বকের রং পরিবর্তন হওয়া। তবে শরীরের জন্য রক্ত জমাট বাঁধা যেমন জরুরি, তেমনই অতিরিক্ত রক্ত যদি শিরায় জমাট বেঁধে যায় তা কিন্তু শরীরের জন্য মারাত্মক হতে পারে।

হঠাৎ করে কোথাও কেটে গেলে সেখান থেকে দ্রুত রক্তপাত বন্ধ করাটাও জরুরি। তবে সেই রক্ত যদি হঠাৎ হঠাৎ শরীরে জমাট বাঁধতে শুরু করে তাহলেই বিপত্তি। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, প্রতিবছর অন্তত ১ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় এই শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণে। ক্যানসারে আক্রান্তদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ হলো এই শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। তাই শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার কারণ ও লক্ষণ সবারই জেনে রাখা জরুরি।

রক্ত জমাট বাঁধার অন্যতম কারণ হলো ধূমপান ও উচ্চ রক্তচাপ। যা নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে। অনেকের ক্ষেত্রে গুরুতর কোনো অসুখও হতে পারে এই শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণ।

অনেক ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেনের মতো কিছু ওষুধও বাড়িয়ে দেয় রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি। আর তাই ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার আগে কয়েকটি লক্ষণ আছে, যা জেনে রাখা জরুরি-

রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ কী কী?
সাধারণত রক্ত পায়েই জমে বেশি। তখন পায়ের টিস্যুতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রক্ত জমাট বাঁধা বিশেষ কোনো সংকেত দেয় না। তবে মস্তিষ্কে যদি রক্তজমাট বাঁধতে শুরু করে তা কিন্তু মুশকিল।

রক্তজমাট বাঁধার সমস্যা হলে প্রথমেই যে উপসর্গ দেখা দেয় তা হলো শ্বাসকষ্ট। সামান্য কাজ করলেই হাঁপিয়ে যাওয়া, ক্লান্তি, ঘাম, শ্বাসকষ্ট, মাথাঘোরা এসব খুব সাধারণ লক্ষণ। সারাক্ষণ বিশ্রামের পরও যদি এই ক্লান্তি শরীরে থেকে যায় তাহলে সাবধান। হতে পারে বড় কোনো বিপদ।

শরীরে যদি ফোলাভাব থাকে বিশেষত পায়ে, একই সঙ্গে পায়ের ত্বকের রং পরিবর্তন, তাপমাত্রার পরিবর্তনও এর জন্য দায়ী। শরীরে সব সময় যদি হালকা তাপমাত্রা থাকে তাহলে তা হল ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিসের লক্ষণ।

সেই সঙ্গে ত্বকের গভীরে যদি কোনো ক্ষত হয় সেই সঙ্গে শরীরের কোষে রক্ত পৌঁছাতে যদি অসুবিধা হয়, তাহলে আগে থাকতেই সাবধান। যদি শরীরের নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় ফোলাভাব থাকে ও জায়গাটি গরম থাকে তাহলে যতদ্রুত সম্ভব চেকআপ করান।

অনেক সময় শরীরের ডিটক্সিফিকেশন না হলে সেখান থেকেও রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যা হতে পারে। আবার শরীরের কোথাও গভীর আঘাত পেলে কিংবা মস্তিষ্কে আঘাত পেলে সেখান থেকেও শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার মতো সমস্যা হয়।

মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত না পৌঁছালে, রক্ত, জমাট বাঁধলে সেখান থেকে মাথা ঘোরা, দেখতে না পাওয়া, কথা বলতে অসুবিধে, স্মৃতিভ্রম এমন নানা সমস্যা হতে পারে। এমনকি খিঁচুনি পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়া থেকে যায় গুরুত্বর স্নায়বিক জটিলতারও। তাই অস্বাভাবিক কোনো কিছু অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান ও দ্রুত চিকিৎসা শুরু করুন।