১১:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পুরাতন মার্কেটে দোকান বরাদ্দের দাবিতে 

জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে বড়বাজার মুরগি ও মাংস ব্যবসায়ীরা

কক্সবাজার শহরের বড়বাজারে পুরাতন মার্কেটে দোকান বরাদ্দের দাবিতে মুরগী ব্যবসায়ী সমিতি ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। ৩১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে দু’প্রশাসকের কাছে দুই সমিতির পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়। দাখিল করা আবেদন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার অধীনে পরিচালিত বড়বাজার মুরগী ও মাংস বিক্রয় মার্কেটের মুরগী ও মাংস ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত ‘বড়বাজার মুরগী ব্যবসায়ী সমিতি ও বড় বাজার মাংস ব্যবসায়ী সমিতি’তে বড়বাজারে মুরগী ও মাংস বিক্রেতা হিসাবে দীর্ঘদিনের পুরাতন ৪০/৪৫ জন ব্যবসায়ী রয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার অধীনে পরিচালিত বড়বাজারে মুরগী ও মাংস বিক্রয় মার্কেটে ব্যবসায়ীরা বংশানুক্রমে দীর্ঘ ৫০/৬০ বছরের অধিককাল যাবত ব্যবসা করিয়া আসছিল।তারা পৌরসভার নিয়োজিত ইজারাদারকে দৈনিক ইজারা/ভাড়া প্রদানের ভিত্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করিতেছে এবং সকলের পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে।

বিগত ০১ (এক) বছর পূর্বে তৎকালীন মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী তাদের কে আশ্বস্ত করেন যে, মুরগী ও মাংস ব্যবসার নির্দিষ্ট স্থান তথা উক্ত মুরগী ও মাংস বিক্রয় মার্কেটটি ভেঙ্গে বহুতল ভবন নির্মাণ করে নিচতলায় যারা দীর্ঘদিনের পুরাতন ব্যবসায়ী রয়েছে,তাদেরকে ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দোকান বরাদ্দ দিবে এবং তাদেরকে বরাদ্দ দেওয়ার পর অন্যান্যদেরকে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। সেই মতে তারা ভবন নির্মাণের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্টান নির্দিষ্ট জায়গাটি ছেড়ে দিয়ে মেয়রের নির্দেশেপার্শ্ববর্তী একটি অনুপযোগী খালি জায়গায় অস্থায়ীভাবে বসে খুবই কষ্টের মাধ্যমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

যাহাতে তাদের প্রতিকূল পরিবেশের কারণে দৈনিক লোকসানের শিকার হইতেছে।বর্তমানে মুরগী ও মাংস বিক্রির নির্ধারিত স্থানে মার্কেট নির্মাণের কাজ চলিতেছে এবং আন্ডার গ্রাউন্ডের ছাদের কাজ শেষ হওয়ার পথে। কিন্তু ইতিমধ্যে বিশ্বস্থ সূত্রে তারা জানতে পারে যে, উক্ত মার্কেটে যারা দীর্ঘদিনের পুরাতন ব্যবসায়ী রয়েছে,তাদেকে বাদ দিয়ে গোপনে, অধিক টাকার বিনিময়ে ভিন্ন লোকজনের নিকট মুরগী ও মাংসের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হইবে।তার ফলে পুরাতন ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হইয়া পড়িবে। পুরাতন ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দ না দিয়ে অন্য লোকজনকে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হলে এবং তাদের চাহিদামত দোকান বরাদ্দ না দেওয়া হলে তাদের প্রতি খুবই অমানবিক আচরণ করা হবে এবং তারা খুবই লোকসানের সম্মুখীন হবে।

এসব পুরনো ব্যবসায়ীদের লোকসানের কারণে তাদের অনেক টাকা দেনা গ্রন্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা নিরুপায় হয়ে সাবেক মেয়রের প্রতিশ্রুতিতে মতে বড়বাজারের নব নির্মিত মুরগী/মাংস মার্কেট হইতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের পুরাতন ৪০/৪৫ জন মুরগী ও মাংস বিক্রেতা ব্যবসায়ীদেরকে দোকান বরাদ্দ দানে আবেদন করা হয়। মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া রাজু বলেন, দীর্ঘ ৪০-৪৫ বছর ধরে বড়বাজারে মাংস ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। উন্নয়ন আর সংস্কারের কথা বলে বার বার আমাদের স্থানতরিত করা হয়। দীর্ঘ বছর ব্যবসা করলেও অনন্য ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও আজ পর্যন্ত আমাদের নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় প্রতিনিয়ত আমরা লোকসানে থাকতে হয়৷ এতে করে আমরা অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।

বর্তমান প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আমরা যারা পুরাতন মাংস ব্যবসায়ী আছি তাদেরকে নির্দিষ্ট স্থানে স্থায়ীভাবে দোকান বরাদ্দের আকুল আবেদন জানাচ্ছি। একই দাবি জানিয়েছেন বড় বাজার মুরগী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সেলিম বাবুল ও এহছান উল্লাহ্। আবেদন জমাদানকালে মাংস ও মুরগী ব্যবসায়ী সমিতির অর্ধশত ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। আবেদন গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক মোঃ সালাহ্উদ্দিন ও পৌর প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মাঝেই দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

পুরাতন মার্কেটে দোকান বরাদ্দের দাবিতে 

জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছে বড়বাজার মুরগি ও মাংস ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত সময় : ১২:০৭:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

কক্সবাজার শহরের বড়বাজারে পুরাতন মার্কেটে দোকান বরাদ্দের দাবিতে মুরগী ব্যবসায়ী সমিতি ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। ৩১ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে দু’প্রশাসকের কাছে দুই সমিতির পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়। দাখিল করা আবেদন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার অধীনে পরিচালিত বড়বাজার মুরগী ও মাংস বিক্রয় মার্কেটের মুরগী ও মাংস ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত ‘বড়বাজার মুরগী ব্যবসায়ী সমিতি ও বড় বাজার মাংস ব্যবসায়ী সমিতি’তে বড়বাজারে মুরগী ও মাংস বিক্রেতা হিসাবে দীর্ঘদিনের পুরাতন ৪০/৪৫ জন ব্যবসায়ী রয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার অধীনে পরিচালিত বড়বাজারে মুরগী ও মাংস বিক্রয় মার্কেটে ব্যবসায়ীরা বংশানুক্রমে দীর্ঘ ৫০/৬০ বছরের অধিককাল যাবত ব্যবসা করিয়া আসছিল।তারা পৌরসভার নিয়োজিত ইজারাদারকে দৈনিক ইজারা/ভাড়া প্রদানের ভিত্তিতে ব্যবসা পরিচালনা করিতেছে এবং সকলের পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে।

বিগত ০১ (এক) বছর পূর্বে তৎকালীন মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী তাদের কে আশ্বস্ত করেন যে, মুরগী ও মাংস ব্যবসার নির্দিষ্ট স্থান তথা উক্ত মুরগী ও মাংস বিক্রয় মার্কেটটি ভেঙ্গে বহুতল ভবন নির্মাণ করে নিচতলায় যারা দীর্ঘদিনের পুরাতন ব্যবসায়ী রয়েছে,তাদেরকে ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দোকান বরাদ্দ দিবে এবং তাদেরকে বরাদ্দ দেওয়ার পর অন্যান্যদেরকে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে। সেই মতে তারা ভবন নির্মাণের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্টান নির্দিষ্ট জায়গাটি ছেড়ে দিয়ে মেয়রের নির্দেশেপার্শ্ববর্তী একটি অনুপযোগী খালি জায়গায় অস্থায়ীভাবে বসে খুবই কষ্টের মাধ্যমে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

যাহাতে তাদের প্রতিকূল পরিবেশের কারণে দৈনিক লোকসানের শিকার হইতেছে।বর্তমানে মুরগী ও মাংস বিক্রির নির্ধারিত স্থানে মার্কেট নির্মাণের কাজ চলিতেছে এবং আন্ডার গ্রাউন্ডের ছাদের কাজ শেষ হওয়ার পথে। কিন্তু ইতিমধ্যে বিশ্বস্থ সূত্রে তারা জানতে পারে যে, উক্ত মার্কেটে যারা দীর্ঘদিনের পুরাতন ব্যবসায়ী রয়েছে,তাদেকে বাদ দিয়ে গোপনে, অধিক টাকার বিনিময়ে ভিন্ন লোকজনের নিকট মুরগী ও মাংসের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হইবে।তার ফলে পুরাতন ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হইয়া পড়িবে। পুরাতন ব্যবসায়ীদের দোকান বরাদ্দ না দিয়ে অন্য লোকজনকে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হলে এবং তাদের চাহিদামত দোকান বরাদ্দ না দেওয়া হলে তাদের প্রতি খুবই অমানবিক আচরণ করা হবে এবং তারা খুবই লোকসানের সম্মুখীন হবে।

এসব পুরনো ব্যবসায়ীদের লোকসানের কারণে তাদের অনেক টাকা দেনা গ্রন্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা নিরুপায় হয়ে সাবেক মেয়রের প্রতিশ্রুতিতে মতে বড়বাজারের নব নির্মিত মুরগী/মাংস মার্কেট হইতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দীর্ঘদিনের পুরাতন ৪০/৪৫ জন মুরগী ও মাংস বিক্রেতা ব্যবসায়ীদেরকে দোকান বরাদ্দ দানে আবেদন করা হয়। মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজা মিয়া রাজু বলেন, দীর্ঘ ৪০-৪৫ বছর ধরে বড়বাজারে মাংস ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। উন্নয়ন আর সংস্কারের কথা বলে বার বার আমাদের স্থানতরিত করা হয়। দীর্ঘ বছর ব্যবসা করলেও অনন্য ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও আজ পর্যন্ত আমাদের নির্দিষ্ট কোন স্থান না থাকায় প্রতিনিয়ত আমরা লোকসানে থাকতে হয়৷ এতে করে আমরা অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।

বর্তমান প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আমরা যারা পুরাতন মাংস ব্যবসায়ী আছি তাদেরকে নির্দিষ্ট স্থানে স্থায়ীভাবে দোকান বরাদ্দের আকুল আবেদন জানাচ্ছি। একই দাবি জানিয়েছেন বড় বাজার মুরগী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সেলিম বাবুল ও এহছান উল্লাহ্। আবেদন জমাদানকালে মাংস ও মুরগী ব্যবসায়ী সমিতির অর্ধশত ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন। আবেদন গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক মোঃ সালাহ্উদ্দিন ও পৌর প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মাঝেই দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে।