০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধোয়াপালংয়ে বনবিভাগের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পূর্ব মরিচ্যা এলাকার ধোয়াপালং রেঞ্জের মরিচ্যা বিটের অধীনে বনবিভাগের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করেছে একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট।রাতারাতি জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করে বসতি পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।এই খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন পরিদর্শনে গেলেও ব্যবস্থা না নিয়ে রহস্যজনক কারণে নীরবতা পালন করে যাচ্ছে।

শনিবার(২ নভেম্বর) দুপুরে ২ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পূর্ব মরিচ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে এক শ্রেণির দালাল চক্র বন বিভাগের সাথে আঁতাত করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সরকারি বনের জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জের মরিচ্যা বিটের অধীনে গভীর রাতে স্হানীয় শামসুল আলম ও সোলতান আহাম্মদ দুই সহোদর মিলে বনভূমি দখল করে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। বাড়ি নির্মাণের সময় শামসুল আলম ও সুলতান আহাম্মদ তাদের স্ত্রী ও ভাড়াটি কয়েকজন নারী এনে ওই বাড়িতে পাহারায় রাখে।সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গেলে উল্টো তাদেরকে হুমকি ধামকি প্রদান করে। পরে ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা সহ কয়েকজন স্টাফ মিলে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে আসে।এসময় বাড়ি নির্মাণকারীদের ঘর ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়ে চলে যায়। তারপরও তারা নির্দেশনা অমান্য করে বাড়ি নির্মাণ করে যাচ্ছে।

এ-বিষয়ে ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: তোসাদ্দেক হোছেন জানান,স্হানীয় শামসুল আলম ও সুলতান আহাম্মদসহ কয়েকজন ব্যক্তি বনভূমিতে ঘর নির্মাণ করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ি নির্মাণ না করতে নিষেধ করা হয়েছে এব বাড়িটি তাদের নিজ দায়িত্বে ভেঙে ফেলার জন্য বলা হয়েছে। তারপরও তারা নিষেধ অমান্য করছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

ধোয়াপালংয়ে বনবিভাগের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ

প্রকাশিত সময় : ০৪:২৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা পূর্ব মরিচ্যা এলাকার ধোয়াপালং রেঞ্জের মরিচ্যা বিটের অধীনে বনবিভাগের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করেছে একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট।রাতারাতি জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ করে বসতি পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।এই খবর পেয়ে বনবিভাগের লোকজন পরিদর্শনে গেলেও ব্যবস্থা না নিয়ে রহস্যজনক কারণে নীরবতা পালন করে যাচ্ছে।

শনিবার(২ নভেম্বর) দুপুরে ২ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পূর্ব মরিচ্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে এক শ্রেণির দালাল চক্র বন বিভাগের সাথে আঁতাত করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সরকারি বনের জমি দখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছে।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জের মরিচ্যা বিটের অধীনে গভীর রাতে স্হানীয় শামসুল আলম ও সোলতান আহাম্মদ দুই সহোদর মিলে বনভূমি দখল করে ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। বাড়ি নির্মাণের সময় শামসুল আলম ও সুলতান আহাম্মদ তাদের স্ত্রী ও ভাড়াটি কয়েকজন নারী এনে ওই বাড়িতে পাহারায় রাখে।সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি গেলে উল্টো তাদেরকে হুমকি ধামকি প্রদান করে। পরে ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা সহ কয়েকজন স্টাফ মিলে সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে আসে।এসময় বাড়ি নির্মাণকারীদের ঘর ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়ে চলে যায়। তারপরও তারা নির্দেশনা অমান্য করে বাড়ি নির্মাণ করে যাচ্ছে।

এ-বিষয়ে ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: তোসাদ্দেক হোছেন জানান,স্হানীয় শামসুল আলম ও সুলতান আহাম্মদসহ কয়েকজন ব্যক্তি বনভূমিতে ঘর নির্মাণ করছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ি নির্মাণ না করতে নিষেধ করা হয়েছে এব বাড়িটি তাদের নিজ দায়িত্বে ভেঙে ফেলার জন্য বলা হয়েছে। তারপরও তারা নিষেধ অমান্য করছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।