০১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবাসী স্বামীর সহায় সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

কক্সবাজার সদর উপজেলায় স্বামীর টাকায় নিজের নামে জমি ক্রয় করে তালাক দিয়েছেন স্ত্রী। এর আগে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে স্বামীর বিরুদ্ধে করে রেখেছে মিথ্যা অভিযোগ।

ভুক্তভোগী ব্যক্তি কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ড ছনখোলা ঘোনাপাড়া গ্রামের বশির আলমের ছেলে মোঃ ইউনুস। তিনি একজন দুবাই প্রবাসী।

জানা গেছে, দুবাই প্রবাসী মোঃ ইউনুস ২০১৮ সালে সামাজিকভাবে বিয়ে করে। বিয়ের কয়েক মাসের পর দুবাই চলে গিয়ে ১বছরের মাথায় দেশে এসে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে যায়। সে দুবাই চলে যেতে না যেতেই দুইএকমাসের মাথায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ ও নানা টালবাহানা করে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। কোন একসময় স্বামী ইউনুসের বাড়ি থেকে সবজিনিস পত্র নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যায়। নাছিমা আক্তার সদরস্থ ঝিলংজা ইউপি’র পূর্ব মুক্তারকুল আবদুল জলিলের মেয়ে।

সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের আগে থেকেই বিদেশ করছে ইউনুস। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর ইউনুসের সাথে বিয়ে হয় নাছিমার।সে দেড়দুই বছর পরপর দেশে এসে সময় কাটিয়ে চলে যায়। এরমধ্যে মিথ্যা অজুহাত দাঁড় করে সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে পিতার বাড়ি চলে যায় নাছিমা। এরপর থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ডিভোর্সের আগ পর্যন্ত পিতার বাড়িতে অবস্থান করছে। তাদের সংসারে আছে ৫ বছর বয়সী একমেয়ে সন্তান। আছে স্বর্ণালংকার, প্রায় ৫/৬ লক্ষ টাকার অধিক দেশি-বিদেশি কাপড় চোপড় ও আসবাবপত্র। এছাড়া বিভিন্ন বাহানা ও বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে তার নিকট থেকে প্রায়সময় মোটা অংকের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করছে নাসিমা। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ যার এমাউন্ট হিসাব করলে প্রায় ২০ লাখ টাকার উপরে দাঁড়াবে ।

স্থানীয় কপিল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, প্রবাসী স্বামীকে ভুলে-ভালিয়ে সহায় হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যেই নাম মাত্র বিয়ে করেছে নাছিমা। স্বামী বাইরে থাকার সুবাদে বেপোরোয়া হয়ে উঠে সে। পরকিয়ার ফাঁদে পড়ে নানা বাহানার মাধ্যমে স্বামীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা দুহাতে ব্যয় ও স্বর্ণালংকার তছরুপ করে ফেলেছে। পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে নাছিমা সমাজ, পরিবার, স্বামীর সংসার ও সন্তানের ভবিষ্যৎ না ভেবে নিজের ইচ্ছায় স্বামীর সংসার ত্যাগ করেন। অথচ তাদের মধ্যে কোন মনোমালিন্য, ঝগড়া বিবাদ ছিল না। প্রতিদিন কয়েকবার ইমু মেসেঞ্জারে কতক কথা হতো দু’জনের। হঠাৎ বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো’ নিজের ইচ্ছায় ডিভোর্স হয়ে যায় নাসিমা। এসংক্রান্ত একটি নোটিশও হাতে পেয়েছে ইউনুসের পিতা।

সংসার ত্যাগ করার পর এবার স্বামীর টাকায় কেনা জমি গোপনে বিক্রি করতে উঠেপড়ে লেগেছে নাসিমা। এরকম একটি জমি বিক্রি করতে একটি পার্টিকে জমি দেখাতে নিয়ে গেছে ইউনূসের সাবেক স্ত্রী নাসিমা। অবশ্য এর আগে বিস্তারিত জানিয়ে তার জমিটি দেখে শুনে রাখাতে পিতা, ভাইসহ এক প্রতিবেশীর সাথে যোগাযোগ করছেন ইউনুস।

দক্ষিণ মিঠাছড়ি বসুন্ধরা নামের পরিচিত পাহাড়তলী এলাকার এক নারী জানায়, জমি বিক্রি করতে লোক নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে পেরে বাধা দিয়ে মালিকপক্ষ ছাড়া এজমি বিক্রি করতে দিবে না। কেননা এই জমিটি সে বিক্রি করছে প্রবাসী ইউনুসকে। অথচ তাকে ভুল বুঝিয়ে জমি বিক্রির কাগজপত্রে তার স্বাক্ষর নিয়েছে ইউনুসের সাবেক স্ত্রী নাসিমা আক্তার। জমি ক্রয় কাগজটি তার নামে করেন। পরে বিষয়টি জেনেছেন। কাগজপত্র যার নামে থাকুক না কেন, যার কাছ থেকে টাকা বুঝে নিয়েছে তার কথা ছাড়া কাউকে কিছু করতে দিবেন না। ইউনূসের সাবেক স্ত্রী নাছিমার নামে জমির কাগজপত্র থাকলেও সে জমির মালিক নয়। জামির মালিক প্রবাসী ইউনুস। কারণ এই জমি ক্রয়মূল্য বিদেশ থেকে আমাকে দিয়েছে ইউনুস। এখন নাছিমা ইউনূসের স্ত্রী নেই, বিধেয় তার জমির মালিকানা দাবির কোন সুযোগ নাই। তাকে প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। আল্লাহ রাসুল (সা:) এর কথা ভেবে কারও ফাঁদে পা দিবেনা সে।

উপরোক্ত কথাগুলোর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ইউনুসের ছোট ভাই মাহাব উল্লাহ বলেন, মোঃ ইউনুছ ও নাসিমা আক্তার দম্পতির ক্রয় করা একটি জমির মালিকানা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। নাসিমা এখন ইউনূসের সাবেক স্ত্রী। এখন ইউনুসের অর্জিত-সঞ্চিত টাকা পয়সা, সহায় সম্পত্তি ভোগদখল, বেঁচা বিক্রি করার অধিকার হারিয়েছে। গত কয়েক মাস আগে নাছিমা আক্তার স্ব-ইচ্ছায়, স্ব-জ্ঞানে প্রবাসী ইউনুছের সংসার ত্যাগ করত: নিজের ইচ্ছায় ডিভোর্স হয়ে গেছে। এরআগে এই দম্পতি রামু উপজেলার মিঠাছড়ি (দক্ষিণ) ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকায় একটি জমি ক্রয় করে ইউনুস। প্রবাসে থাকাবস্থায় টাকা পাঠিয়ে উক্ত জমি ক্রয় করছে ইউনুস, এইমর্মে জমি বিক্রেতা ও স্থানীয় অসংখ্য মানুষের সাথে সরেজমিনে কথা (সাক্ষ্যগ্রহণ) বলে তার যথার্থ সত্যতা পেয়েছেন প্রতিবেদক।

যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী মোঃ ইউনুস বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটাচ্ছি অথচ কোন টাকা রাখেনি। নিজের শরীরের ওপর সর্বোচ্চ কষ্ট দিয়ে যা ইনকাম করছি তা স্ত্রীর হাতে পাঠিয়ে দিয়েছি। পিতা মাতার অবাধ্য হয়ে স্ত্রীর খপ্পরে পড়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছি। ২/১ বছর পরপর দেশে গিয়ে স্ত্রীকে সময় দিয়েছি। নিজের সংসারের সুখে আশায় প্রবাস করছে। তার একটি মেয়ে সন্তান আছে। স্ত্রী নাছিমা কৌশলে বাপের বাড়ি চলে গিয়ে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। সে প্রবাস থেকে দেশে গেলেও তাকে কোন পাত্তা দিত না। স্ত্রীর আচার-ব্যবহারে সে বিরক্ত ও উদ্বিগ্ন ছিলেন রীতিমতো। সে বাড়িতে থাকা অবস্থায়ও বিভিন্ন বাহানা দিয়ে বাইরে গিয়ে রাত কাটিয়ে আসতো। স্থানীয়রা প্রায় সময় বিভিন্ন কথা বললেও নিজের মধ্যে লজ্জাবোধ করতেন। কেননা তার একটি মেয়ে সন্তান আছে, তাই কখনো কাউকে দেখায়নি, বলেননি। এরপরও পরিবার পরিজনকে সুখী রাখাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রবাসী ইউনূস মুঠোফোনে আরো বলেন, গত মাসের (অক্টোবর) ৬ তারিখ নিজের ইচ্ছায় তাকে ডিভোর্স দিয়েছে নাসিমা। তার স্ত্রীর কাছে স্বর্ণালংকার বাদে ৫/৬ লাখ টাকার উপরে বেশি-বিদেশ মালামাল (আসবাবপত্র) আছে। সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে তার সংসার ত্যাগ করে স্ত্রী। এখন আমার কেনাজমি বিক্রি করতে উঠেপড়ে লেগেছে আমার সাবেক স্ত্রী নাছিমা। প্রবাস জীবন কাটিয়ে কয়েকটি জমি কিনেছেন। তন্মধ্যে একটি জমি কিনেছে দক্ষিণ মিঠাছড়ি বসুন্ধরা পাহাড়তলী এলাকায়। এ জমিতে আমার সাবেক স্ত্রী নাসিমা আক্তার অনধিকারে প্রবেশ করত: বিক্রির চেষ্টা করছে।

ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল দক্ষিণ মিঠাছড়ি বসুন্ধরা পাহাড়তলী এলাকার তার ক্রয়কৃত জমিটির দেখাশোনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পিতা বশির আলম ও তার ভাই মাহাবুব উল্লাহকে দিয়েছি। স্থানীয় কয়েকব্যক্তিকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেছি। শীঘ্রই দেশে আসবে। আর এই ধান্দাবাজ মহিলার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত নাছিমা আক্তারের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান কক্সবাজার সদর থানার এক পদস্থ কর্মকর্তা।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

জমে উঠেছে বৃহত্তর বাদশাঘোনা সমাজ পরিচালনা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা

প্রবাসী স্বামীর সহায় সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে ডিভোর্স দিলেন স্ত্রী

প্রকাশিত সময় : ০৫:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার সদর উপজেলায় স্বামীর টাকায় নিজের নামে জমি ক্রয় করে তালাক দিয়েছেন স্ত্রী। এর আগে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে স্বামীর বিরুদ্ধে করে রেখেছে মিথ্যা অভিযোগ।

ভুক্তভোগী ব্যক্তি কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ড ছনখোলা ঘোনাপাড়া গ্রামের বশির আলমের ছেলে মোঃ ইউনুস। তিনি একজন দুবাই প্রবাসী।

জানা গেছে, দুবাই প্রবাসী মোঃ ইউনুস ২০১৮ সালে সামাজিকভাবে বিয়ে করে। বিয়ের কয়েক মাসের পর দুবাই চলে গিয়ে ১বছরের মাথায় দেশে এসে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে যায়। সে দুবাই চলে যেতে না যেতেই দুইএকমাসের মাথায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ ও নানা টালবাহানা করে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। কোন একসময় স্বামী ইউনুসের বাড়ি থেকে সবজিনিস পত্র নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যায়। নাছিমা আক্তার সদরস্থ ঝিলংজা ইউপি’র পূর্ব মুক্তারকুল আবদুল জলিলের মেয়ে।

সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের আগে থেকেই বিদেশ করছে ইউনুস। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর ইউনুসের সাথে বিয়ে হয় নাছিমার।সে দেড়দুই বছর পরপর দেশে এসে সময় কাটিয়ে চলে যায়। এরমধ্যে মিথ্যা অজুহাত দাঁড় করে সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে পিতার বাড়ি চলে যায় নাছিমা। এরপর থেকে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে ডিভোর্সের আগ পর্যন্ত পিতার বাড়িতে অবস্থান করছে। তাদের সংসারে আছে ৫ বছর বয়সী একমেয়ে সন্তান। আছে স্বর্ণালংকার, প্রায় ৫/৬ লক্ষ টাকার অধিক দেশি-বিদেশি কাপড় চোপড় ও আসবাবপত্র। এছাড়া বিভিন্ন বাহানা ও বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখিয়ে তার নিকট থেকে প্রায়সময় মোটা অংকের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করছে নাসিমা। নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ যার এমাউন্ট হিসাব করলে প্রায় ২০ লাখ টাকার উপরে দাঁড়াবে ।

স্থানীয় কপিল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জানান, প্রবাসী স্বামীকে ভুলে-ভালিয়ে সহায় হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যেই নাম মাত্র বিয়ে করেছে নাছিমা। স্বামী বাইরে থাকার সুবাদে বেপোরোয়া হয়ে উঠে সে। পরকিয়ার ফাঁদে পড়ে নানা বাহানার মাধ্যমে স্বামীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা দুহাতে ব্যয় ও স্বর্ণালংকার তছরুপ করে ফেলেছে। পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে নাছিমা সমাজ, পরিবার, স্বামীর সংসার ও সন্তানের ভবিষ্যৎ না ভেবে নিজের ইচ্ছায় স্বামীর সংসার ত্যাগ করেন। অথচ তাদের মধ্যে কোন মনোমালিন্য, ঝগড়া বিবাদ ছিল না। প্রতিদিন কয়েকবার ইমু মেসেঞ্জারে কতক কথা হতো দু’জনের। হঠাৎ বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো’ নিজের ইচ্ছায় ডিভোর্স হয়ে যায় নাসিমা। এসংক্রান্ত একটি নোটিশও হাতে পেয়েছে ইউনুসের পিতা।

সংসার ত্যাগ করার পর এবার স্বামীর টাকায় কেনা জমি গোপনে বিক্রি করতে উঠেপড়ে লেগেছে নাসিমা। এরকম একটি জমি বিক্রি করতে একটি পার্টিকে জমি দেখাতে নিয়ে গেছে ইউনূসের সাবেক স্ত্রী নাসিমা। অবশ্য এর আগে বিস্তারিত জানিয়ে তার জমিটি দেখে শুনে রাখাতে পিতা, ভাইসহ এক প্রতিবেশীর সাথে যোগাযোগ করছেন ইউনুস।

দক্ষিণ মিঠাছড়ি বসুন্ধরা নামের পরিচিত পাহাড়তলী এলাকার এক নারী জানায়, জমি বিক্রি করতে লোক নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জানতে পেরে বাধা দিয়ে মালিকপক্ষ ছাড়া এজমি বিক্রি করতে দিবে না। কেননা এই জমিটি সে বিক্রি করছে প্রবাসী ইউনুসকে। অথচ তাকে ভুল বুঝিয়ে জমি বিক্রির কাগজপত্রে তার স্বাক্ষর নিয়েছে ইউনুসের সাবেক স্ত্রী নাসিমা আক্তার। জমি ক্রয় কাগজটি তার নামে করেন। পরে বিষয়টি জেনেছেন। কাগজপত্র যার নামে থাকুক না কেন, যার কাছ থেকে টাকা বুঝে নিয়েছে তার কথা ছাড়া কাউকে কিছু করতে দিবেন না। ইউনূসের সাবেক স্ত্রী নাছিমার নামে জমির কাগজপত্র থাকলেও সে জমির মালিক নয়। জামির মালিক প্রবাসী ইউনুস। কারণ এই জমি ক্রয়মূল্য বিদেশ থেকে আমাকে দিয়েছে ইউনুস। এখন নাছিমা ইউনূসের স্ত্রী নেই, বিধেয় তার জমির মালিকানা দাবির কোন সুযোগ নাই। তাকে প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। আল্লাহ রাসুল (সা:) এর কথা ভেবে কারও ফাঁদে পা দিবেনা সে।

উপরোক্ত কথাগুলোর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ইউনুসের ছোট ভাই মাহাব উল্লাহ বলেন, মোঃ ইউনুছ ও নাসিমা আক্তার দম্পতির ক্রয় করা একটি জমির মালিকানা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। নাসিমা এখন ইউনূসের সাবেক স্ত্রী। এখন ইউনুসের অর্জিত-সঞ্চিত টাকা পয়সা, সহায় সম্পত্তি ভোগদখল, বেঁচা বিক্রি করার অধিকার হারিয়েছে। গত কয়েক মাস আগে নাছিমা আক্তার স্ব-ইচ্ছায়, স্ব-জ্ঞানে প্রবাসী ইউনুছের সংসার ত্যাগ করত: নিজের ইচ্ছায় ডিভোর্স হয়ে গেছে। এরআগে এই দম্পতি রামু উপজেলার মিঠাছড়ি (দক্ষিণ) ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকায় একটি জমি ক্রয় করে ইউনুস। প্রবাসে থাকাবস্থায় টাকা পাঠিয়ে উক্ত জমি ক্রয় করছে ইউনুস, এইমর্মে জমি বিক্রেতা ও স্থানীয় অসংখ্য মানুষের সাথে সরেজমিনে কথা (সাক্ষ্যগ্রহণ) বলে তার যথার্থ সত্যতা পেয়েছেন প্রতিবেদক।

যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী মোঃ ইউনুস বলেন, দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটাচ্ছি অথচ কোন টাকা রাখেনি। নিজের শরীরের ওপর সর্বোচ্চ কষ্ট দিয়ে যা ইনকাম করছি তা স্ত্রীর হাতে পাঠিয়ে দিয়েছি। পিতা মাতার অবাধ্য হয়ে স্ত্রীর খপ্পরে পড়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছি। ২/১ বছর পরপর দেশে গিয়ে স্ত্রীকে সময় দিয়েছি। নিজের সংসারের সুখে আশায় প্রবাস করছে। তার একটি মেয়ে সন্তান আছে। স্ত্রী নাছিমা কৌশলে বাপের বাড়ি চলে গিয়ে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। সে প্রবাস থেকে দেশে গেলেও তাকে কোন পাত্তা দিত না। স্ত্রীর আচার-ব্যবহারে সে বিরক্ত ও উদ্বিগ্ন ছিলেন রীতিমতো। সে বাড়িতে থাকা অবস্থায়ও বিভিন্ন বাহানা দিয়ে বাইরে গিয়ে রাত কাটিয়ে আসতো। স্থানীয়রা প্রায় সময় বিভিন্ন কথা বললেও নিজের মধ্যে লজ্জাবোধ করতেন। কেননা তার একটি মেয়ে সন্তান আছে, তাই কখনো কাউকে দেখায়নি, বলেননি। এরপরও পরিবার পরিজনকে সুখী রাখাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রবাসী ইউনূস মুঠোফোনে আরো বলেন, গত মাসের (অক্টোবর) ৬ তারিখ নিজের ইচ্ছায় তাকে ডিভোর্স দিয়েছে নাসিমা। তার স্ত্রীর কাছে স্বর্ণালংকার বাদে ৫/৬ লাখ টাকার উপরে বেশি-বিদেশ মালামাল (আসবাবপত্র) আছে। সবকিছু হাতিয়ে নিয়ে তার সংসার ত্যাগ করে স্ত্রী। এখন আমার কেনাজমি বিক্রি করতে উঠেপড়ে লেগেছে আমার সাবেক স্ত্রী নাছিমা। প্রবাস জীবন কাটিয়ে কয়েকটি জমি কিনেছেন। তন্মধ্যে একটি জমি কিনেছে দক্ষিণ মিঠাছড়ি বসুন্ধরা পাহাড়তলী এলাকায়। এ জমিতে আমার সাবেক স্ত্রী নাসিমা আক্তার অনধিকারে প্রবেশ করত: বিক্রির চেষ্টা করছে।

ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল দক্ষিণ মিঠাছড়ি বসুন্ধরা পাহাড়তলী এলাকার তার ক্রয়কৃত জমিটির দেখাশোনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পিতা বশির আলম ও তার ভাই মাহাবুব উল্লাহকে দিয়েছি। স্থানীয় কয়েকব্যক্তিকে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেছি। শীঘ্রই দেশে আসবে। আর এই ধান্দাবাজ মহিলার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত নাছিমা আক্তারের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান কক্সবাজার সদর থানার এক পদস্থ কর্মকর্তা।