১২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পিএমখালীর ছনখোলার বাসিন্দা

কক্সবাজার জেলার বিশিষ্ট প্রবীণ সমবায়ী নেতা জনাব এম নূরুল ইসলাম সাহেবের সংক্ষিপ্ত জীবনী

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশিত সময় : ১১:১৯:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • ২১ ভিউ

জনাব এম নূরুল ইসলাম ১৯৩৩ সালে কক্সবাজার সদর থানার পি.এম.খালী ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাহার বর্তমান বয়স ৭১ বৎসর। তাহার শিক্ষাগত যোগ্যতা এস.এস.সি/এইচ.এস.সি সমমান। বাল্যকাল থেকে তিনি কৃষি উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনসাধারনের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। ১৯৬১ সনে ছনখোলা পান উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি গঠন করে সমবায়ের সাথে তিনি স্বক্রিয়ভাবে জড়িত হন।

১৯৬৫ সনে কক্সবাজার থানা সেচ পরিকল্পনার আওতায় বিএডিসির পাওয়ার পাম্প সেচ পরিকল্পনায় অংশ গ্রহণ করেন এবং কৃষি ও সেচ উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি সমবায় সমিতি গঠন করেন। পরবর্তীতে তাহাকে কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে সরকারী খরচে ইরি ধান চাষের জন্য প্রশিক্ষনে পাঠানো হয়। প্রশিক্ষন শেষে এলাকায় ফিরে এসে কৃষকদেরকে ইরি ধান চাষের ট্রেনিং দেন ও উন্নত চাষাবাদ করে তিনি নিজে আদর্শ কৃষক হিসাবে সরকারী স্বীকৃতি লাভ করেন এবং সরকার থেকে তাহাকে ১টি রেডিও সেট, ১টি সাইকেল ও ৫০০/— টাকা মুল্যের প্রাইজ বন্ড পুরুষ্কার দেওয়া হয়। ১৯৬৬ সনে তিনি কক্সবাজার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যংকের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। এর পর তিনি সরকারের অধিক খাদ্য ফলাও অভিযানে অংশগ্রহণ করেন ও উন্নত বীজ, সুসম সার, আগাছা ও পোকা মাকড় দমনে কক্সবাজার থানার কৃষকদেরকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে সক্ষম হন ও খাদ্য উৎপাদনে আশানুরূপ সাফল্য লাভ করেন। ১৯৬৯—৭০ সনে তিনি কক্সবাজার থানা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি গঠন করেন ও বাঁকখালী নদীর বাঁধ (ক্রসড্যাম) নির্মানের জন্য আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ১৯৭২ মনে বাঁকখালী নদীর (ক্র্যাম) নির্মান করে ককসবাজার ও রামু সেচ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পূর্ণতা আনয়ন করতে সক্ষম হন।

১৯৭২ সনে তিনি যথাক্রমে ককসবাজার থানা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সম্পাদক ও চট্টগ্রাম লবন উৎপাদন কারী কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সনে তিনি চট্টগ্রাম জেলা থানা . কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি সমূহের ফেডারেশনের পরিচালক ও কক্সবাজার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের সভাপতি নির্বাচিত হন, এবং বাংলাদেশ পল্লীউন্নয়ন একাডেমীতে ২য় বারের মতে প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মাহাবুব আলম চাষীর সহায়তায় প্রথমে তরান্নিত ফসল উৎপাদন পরিকল্পনা (অজচচ) ও পরে চট্টগ্রাম জেলার সোনালী “শ” ও “সবুজী “শ” পরিকল্পনার জেলা সমন্বয়কারী পদে নিযুক্ত হন। এ কাজে তাহার কৃতিত্ত্বের স্বীকৃতি সরূপ চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাষক জনাব এবি, চৌধুরী তাহাকে ১৫০ সিসির একটি মোটর সাইকেল পুরুষ্কার প্রদান করেন। ১৯৭৪ সনে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মৎস্যজিবী সমবায় সমিতির পরিচালক ও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতির পরিচালক নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে প্রায় ২৯ বৎসর যাবত চট্টগ্রাম লবণ উৎপাদনকারী কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান পদে অধিষ্টিত থাকিয়া লবন চাষীদের ভাগ্য উন্নয়নে যে সকল উল্লেখ যোগ্য অবদান রেখেছেন সেগুলো হচ্ছে, লবন উৎপাদনকারী সমবায়ীদের জন্য ব্যাংক ঋনের প্রচলন, লবণ মাঠে চিংড়ী চাষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে লবণ সমিতির মাধ্যমে প্রায় ১১ লক্ষ মন লবণ সরবরাহ দেওয়া ও সরকারের লবণ সংগ্রহ কর্মসূচীর স্বাক্রিয় অংশীদার হিসাবে বাস্তায়নের বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হন। ইতিপূর্বে লবণ নীতি বাস্তবায়নের জন্য গঠিত সরকারের উচ্চপর্যায়ের বাস্তবায়ন কমিটিগুলিতে লবণ সমবায়ীদের পক্ষ থেকে তিনি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নিয়মিত সদস্য হিসাবে অংশগ্রহণ করে সরকার কে সহায়তা করেছেন।
১৯৯১ ইং সনের সংঘটিত প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্থ লবণ চাষী ও সমবায়ীদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রম লবণ উৎপাদনকারী কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ কক্সবাজার শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রকল্প নিয়ে প্রায় ৪ বৎসর যাবত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সরকার থেকে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ সহায়তা মঞ্জুর করিয়া প্রকল্প বাস্তাবায়নে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

এ সকল কাজে লবণ সমবায়ীদের পক্ষে তিনি সমবায় মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশনে নিয়মিত আন্তঃমন্ত্রনালয় সভায় যোগদান ও জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অংশ গ্রহণ করে প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে কেন্দ্রীয় লবণ সমিতির সদস্যেরা ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার স্থাপনা অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ জামের বাড়ীতে অবসর জীবন যাপন করতে আসলেও এলাকার জন সাধারন তাকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমবায় সংগঠন যথা—এল জি ই ডি কর্তৃক পরিচালিত ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন সেক্টর প্রকল্পের আওতায় ছন খোলা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি নামে একটি উন্নয়নমুখী সমবায় সমিতি তাহার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে। এই সমিতির সভাপতি হিসাবে তিনি এল জি ই ডির কাছ থেকে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে এলাকাবাসী কৃষি উন্নয়ন, মৎস্য চাষ ও পানি সম্পদ নিয়ন্ত্রনের জন্য সুইচ গেইট ও খাল খনন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য বেড়ী বাঁধ নির্মানের সুযোগ সুবিধা লাভ করতে সমর্থ হবে।
পরিশেষে বলা যায় যে, তিনি একজন বিশিষ্ট সমবায়ী নেতা। জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সমবায় সংগঠন ও সমবায়ীদের কাছে সমাদৃত ব্যক্তিত্ব হিসাবে শ্রদ্ধা ভাজন হয়ে থাকুক এই আমাদের প্রত্যাশা।
পরিবারের বড় ছেলে ফজলুল কাদেরের কাছ থেকে সংগৃহীত।

লেখক: মুহাম্মদ হাশেম

সাধারণ সম্পাদক
কক্সবাজার লেখক ফোরাম।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

জমে উঠেছে বৃহত্তর বাদশাঘোনা সমাজ পরিচালনা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা

পিএমখালীর ছনখোলার বাসিন্দা

কক্সবাজার জেলার বিশিষ্ট প্রবীণ সমবায়ী নেতা জনাব এম নূরুল ইসলাম সাহেবের সংক্ষিপ্ত জীবনী

প্রকাশিত সময় : ১১:১৯:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

জনাব এম নূরুল ইসলাম ১৯৩৩ সালে কক্সবাজার সদর থানার পি.এম.খালী ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাহার বর্তমান বয়স ৭১ বৎসর। তাহার শিক্ষাগত যোগ্যতা এস.এস.সি/এইচ.এস.সি সমমান। বাল্যকাল থেকে তিনি কৃষি উন্নয়ন ও গ্রামীণ জনসাধারনের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। ১৯৬১ সনে ছনখোলা পান উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি গঠন করে সমবায়ের সাথে তিনি স্বক্রিয়ভাবে জড়িত হন।

১৯৬৫ সনে কক্সবাজার থানা সেচ পরিকল্পনার আওতায় বিএডিসির পাওয়ার পাম্প সেচ পরিকল্পনায় অংশ গ্রহণ করেন এবং কৃষি ও সেচ উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষি সমবায় সমিতি গঠন করেন। পরবর্তীতে তাহাকে কুমিল্লার পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে সরকারী খরচে ইরি ধান চাষের জন্য প্রশিক্ষনে পাঠানো হয়। প্রশিক্ষন শেষে এলাকায় ফিরে এসে কৃষকদেরকে ইরি ধান চাষের ট্রেনিং দেন ও উন্নত চাষাবাদ করে তিনি নিজে আদর্শ কৃষক হিসাবে সরকারী স্বীকৃতি লাভ করেন এবং সরকার থেকে তাহাকে ১টি রেডিও সেট, ১টি সাইকেল ও ৫০০/— টাকা মুল্যের প্রাইজ বন্ড পুরুষ্কার দেওয়া হয়। ১৯৬৬ সনে তিনি কক্সবাজার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যংকের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। এর পর তিনি সরকারের অধিক খাদ্য ফলাও অভিযানে অংশগ্রহণ করেন ও উন্নত বীজ, সুসম সার, আগাছা ও পোকা মাকড় দমনে কক্সবাজার থানার কৃষকদেরকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে সক্ষম হন ও খাদ্য উৎপাদনে আশানুরূপ সাফল্য লাভ করেন। ১৯৬৯—৭০ সনে তিনি কক্সবাজার থানা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি গঠন করেন ও বাঁকখালী নদীর বাঁধ (ক্রসড্যাম) নির্মানের জন্য আন্দোলন শুরু করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ১৯৭২ মনে বাঁকখালী নদীর (ক্র্যাম) নির্মান করে ককসবাজার ও রামু সেচ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পূর্ণতা আনয়ন করতে সক্ষম হন।

১৯৭২ সনে তিনি যথাক্রমে ককসবাজার থানা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির সম্পাদক ও চট্টগ্রাম লবন উৎপাদন কারী কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সনে তিনি চট্টগ্রাম জেলা থানা . কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি সমূহের ফেডারেশনের পরিচালক ও কক্সবাজার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের সভাপতি নির্বাচিত হন, এবং বাংলাদেশ পল্লীউন্নয়ন একাডেমীতে ২য় বারের মতে প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মাহাবুব আলম চাষীর সহায়তায় প্রথমে তরান্নিত ফসল উৎপাদন পরিকল্পনা (অজচচ) ও পরে চট্টগ্রাম জেলার সোনালী “শ” ও “সবুজী “শ” পরিকল্পনার জেলা সমন্বয়কারী পদে নিযুক্ত হন। এ কাজে তাহার কৃতিত্ত্বের স্বীকৃতি সরূপ চট্টগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাষক জনাব এবি, চৌধুরী তাহাকে ১৫০ সিসির একটি মোটর সাইকেল পুরুষ্কার প্রদান করেন। ১৯৭৪ সনে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় মৎস্যজিবী সমবায় সমিতির পরিচালক ও বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় শিল্প সমিতির পরিচালক নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে প্রায় ২৯ বৎসর যাবত চট্টগ্রাম লবণ উৎপাদনকারী কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান পদে অধিষ্টিত থাকিয়া লবন চাষীদের ভাগ্য উন্নয়নে যে সকল উল্লেখ যোগ্য অবদান রেখেছেন সেগুলো হচ্ছে, লবন উৎপাদনকারী সমবায়ীদের জন্য ব্যাংক ঋনের প্রচলন, লবণ মাঠে চিংড়ী চাষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ে লবণ সমিতির মাধ্যমে প্রায় ১১ লক্ষ মন লবণ সরবরাহ দেওয়া ও সরকারের লবণ সংগ্রহ কর্মসূচীর স্বাক্রিয় অংশীদার হিসাবে বাস্তায়নের বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হন। ইতিপূর্বে লবণ নীতি বাস্তবায়নের জন্য গঠিত সরকারের উচ্চপর্যায়ের বাস্তবায়ন কমিটিগুলিতে লবণ সমবায়ীদের পক্ষ থেকে তিনি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় নিয়মিত সদস্য হিসাবে অংশগ্রহণ করে সরকার কে সহায়তা করেছেন।
১৯৯১ ইং সনের সংঘটিত প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্থ লবণ চাষী ও সমবায়ীদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রম লবণ উৎপাদনকারী কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ কক্সবাজার শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রকল্প নিয়ে প্রায় ৪ বৎসর যাবত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সরকার থেকে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ সহায়তা মঞ্জুর করিয়া প্রকল্প বাস্তাবায়নে বিশেষ অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

এ সকল কাজে লবণ সমবায়ীদের পক্ষে তিনি সমবায় মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা কমিশনে নিয়মিত আন্তঃমন্ত্রনালয় সভায় যোগদান ও জাতীয় অর্থনীতি পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় অংশ গ্রহণ করে প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে কেন্দ্রীয় লবণ সমিতির সদস্যেরা ১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার স্থাপনা অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ জামের বাড়ীতে অবসর জীবন যাপন করতে আসলেও এলাকার জন সাধারন তাকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমবায় সংগঠন যথা—এল জি ই ডি কর্তৃক পরিচালিত ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন সেক্টর প্রকল্পের আওতায় ছন খোলা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি নামে একটি উন্নয়নমুখী সমবায় সমিতি তাহার নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে। এই সমিতির সভাপতি হিসাবে তিনি এল জি ই ডির কাছ থেকে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে এলাকাবাসী কৃষি উন্নয়ন, মৎস্য চাষ ও পানি সম্পদ নিয়ন্ত্রনের জন্য সুইচ গেইট ও খাল খনন এবং বন্যা নিয়ন্ত্রনের জন্য বেড়ী বাঁধ নির্মানের সুযোগ সুবিধা লাভ করতে সমর্থ হবে।
পরিশেষে বলা যায় যে, তিনি একজন বিশিষ্ট সমবায়ী নেতা। জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত সমবায় সংগঠন ও সমবায়ীদের কাছে সমাদৃত ব্যক্তিত্ব হিসাবে শ্রদ্ধা ভাজন হয়ে থাকুক এই আমাদের প্রত্যাশা।
পরিবারের বড় ছেলে ফজলুল কাদেরের কাছ থেকে সংগৃহীত।

লেখক: মুহাম্মদ হাশেম

সাধারণ সম্পাদক
কক্সবাজার লেখক ফোরাম।