১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাফেজ এনামুল হক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় নিন্দার ঝড়: মামলা প্রত্যাহারের জোরদাবী এলাকাবাসীর

টেকনাফ হ্নীলার দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক মরহুম শাহ আবুল মনজুর রহ: এর ছেলে মাওলানা হাফেজ এনামুল হক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় টেকনাফ উপজেলা তথা পুরো জেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। গত ১১ নভেম্বর আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালত কক্সবাজারে উক্ত মামলাটি দায়ের করেন ওই মাদ্রাসার বিতাড়িত পরিচালক মাওলানা আফসার উদ্দিন চৌধুরী।
মামলা নং ১৩১/২৪ এবং মামলাটি ডিএসবি কক্সবাজার এর ওসি কে আগামী ৫ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, মামলার ৯নং বিবাদী মাওলানা হাফেজ এনামুল হক দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক মরহুম শাহ আবুল মনজুর রহ. এর ছেলে। তিনি তার মাতার দেওয়া জমিতে একটি মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে সুনামের সাথে মাদ্রসাটি পরিচালনা করে আসছিলেন। তিনি পাশাপাশি স্বীয় মুরব্বিগণের অনুরোধে দারুসসুন্নাহ মাদরাসায় খন্ড কালীন শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এদিকে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার বিতাড়িত পরিচালক মাওলানা আফসার উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন ফ্যাসিষ্ট সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী। স্থানীয় আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের সাথে নিয়ে মাদ্রাসায় বিভিন্ন অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করছিলেন মাওলানা আফসার উদ্দিন চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তার এই অনিয়ম ধীরে ধীরে ছাত্রদের মাঝে ক্ষোভের দানা বানতে শুরু করে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে গত ৫আগস্ট এক নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হলে ছাত্ররা বিতাড়িত পরিচালকের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস করে। দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাওলানা আফসার উদ্দিন কে তার ভুল সংশোধনের জন্য দীর্ঘ সময় দেওয়া হলেও সে সংশোধনের পরিবর্তে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তারই ধারাবাহিকতায় সারা বাংলাদেশের ন্যায়
দারুসসুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আফসার উদ্দীনকে বিভিন্ন অভিযোগে গত ৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছাত্ররা মাদরাসা ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। যথারীতি তিনি মাদ্রাসা তয়াগ করে চলে যান।
ওই সময় বিবাদী মাওলানা হাফেজ এনামুল হক অন্যান্য দিনের ন্যায় তার পৈত্রিক বাসভবনে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। অপরদিকে সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ মাদ্রাসা পড়ালেখা চালু রাখার স্বার্থে উক্ত প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের ছেলে এনামুল হককে অত্র জামিয়ার অস্থায়ী মুহতামিম নিয়োগের চেষ্টা করলে তিনি শক্তভাবে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে জামেয়া শুভাকাঙ্ক্ষী প্রতিবেশীগণ মাদ্রাসার বৃহত্তর স্বার্থে সদরে মুহতামিমকে মুহতামিম ঘোষণা করেন এবং বয়োবৃদ্ধ উক্ত হুজুরকে সঠিক সহযোগিতা করার জন্য মাওলানা হাফেজ এনাম সহ অপর দুজনকে নায়েবে মুহতামিম নিয়োগ দেন। বিষয়টি নিয়ে ৬ নভেম্বর টেকনাফ মডেল থানা সম্মেলন কক্ষে ওসি গিয়াস উদৃদিনের তত্ত্বাবধানে বোর্ড মহাসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সদরে মুহতামিম মাওলানা মোখতার আহমদকে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম হিসেবে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। পাশাপাশি
মওলানা এনামুল হককে অস্থায়ী নায়েবে মুহতামিম ঘোষণা করলে মওলানা আফসার উদ্দিন জোরালো আপত্তি জানান এবং সাথে সাথে মওলানা এনামুল হক তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, আমি সংঘাত চাই না, শান্তি চাই।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বোর্ডের মহাসচিব স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দেখা যায়, ৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য দু’জন এসআই (সাব-ইনেস্পেক্টর) সহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম ১৩ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার কথা থাকলেও ১১ নভেম্বর মাওলানা আফসার উদ্দিন চৌধুরী বাদী হয়ে দশ জনকে বিবাদী করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ওই মামলায় নিরপরাধ এলাকার অধিকতর সম্মানিত আলেম হাফেজ মওলানা এনামুল হক এর নাম দেখে এলাকার সচেতন মহলের পাশাপাশি সাধারন জনতা হতবম্ভ হয়ে পড়েন এবং বিতাড়িত মওলানা আফছার উদ্দীনকে ধিক্কার জানান পাশাপাশি উক্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোরদাবী জানান। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, তদন্তে নিজের অপকর্ম উঠে আসার ভয়ে চলমান তদন্ত স্থগিত করার স্বার্থেই ওই মামলাটি দায়ের করেছেন মওলানা আফছার। পক্ষান্তরে এলাকাবাসীর প্রস্তাবিত মুহতামিমকে অগ্রিম বিতর্কিত করার হীন স্বার্থেই ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত হাফেজ মাওলানা এনামকে বিবাদীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিকে টেকনাফের আপামর জনতার একটাই দাবী অবিলম্বে হাফেজ মওলানা এনামুল হককে উক্ত মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আফছারের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান। পাশাপাশি মওলানা আফছারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হলে উক্ত মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে নিয়ে মানব বন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসুচী পালন করবেন বলে হুশিয়ারি দেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে যথাযত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানান সচেতন মহল।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

আলুর দাম আরও বেড়েছে, স্বস্তি নেই ডিম-সবজিতেও

হাফেজ এনামুল হক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় নিন্দার ঝড়: মামলা প্রত্যাহারের জোরদাবী এলাকাবাসীর

প্রকাশিত সময় : ১২:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফ হ্নীলার দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক মরহুম শাহ আবুল মনজুর রহ: এর ছেলে মাওলানা হাফেজ এনামুল হক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় টেকনাফ উপজেলা তথা পুরো জেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। গত ১১ নভেম্বর আইন শৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালত কক্সবাজারে উক্ত মামলাটি দায়ের করেন ওই মাদ্রাসার বিতাড়িত পরিচালক মাওলানা আফসার উদ্দিন চৌধুরী।
মামলা নং ১৩১/২৪ এবং মামলাটি ডিএসবি কক্সবাজার এর ওসি কে আগামী ৫ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, মামলার ৯নং বিবাদী মাওলানা হাফেজ এনামুল হক দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা পরিচালক মরহুম শাহ আবুল মনজুর রহ. এর ছেলে। তিনি তার মাতার দেওয়া জমিতে একটি মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে সুনামের সাথে মাদ্রসাটি পরিচালনা করে আসছিলেন। তিনি পাশাপাশি স্বীয় মুরব্বিগণের অনুরোধে দারুসসুন্নাহ মাদরাসায় খন্ড কালীন শিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এদিকে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসার বিতাড়িত পরিচালক মাওলানা আফসার উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন ফ্যাসিষ্ট সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী। স্থানীয় আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের সাথে নিয়ে মাদ্রাসায় বিভিন্ন অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করছিলেন মাওলানা আফসার উদ্দিন চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তার এই অনিয়ম ধীরে ধীরে ছাত্রদের মাঝে ক্ষোভের দানা বানতে শুরু করে। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে গত ৫আগস্ট এক নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হলে ছাত্ররা বিতাড়িত পরিচালকের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস করে। দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাওলানা আফসার উদ্দিন কে তার ভুল সংশোধনের জন্য দীর্ঘ সময় দেওয়া হলেও সে সংশোধনের পরিবর্তে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তারই ধারাবাহিকতায় সারা বাংলাদেশের ন্যায়
দারুসসুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আফসার উদ্দীনকে বিভিন্ন অভিযোগে গত ৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছাত্ররা মাদরাসা ত্যাগ করতে বাধ্য করেন। যথারীতি তিনি মাদ্রাসা তয়াগ করে চলে যান।
ওই সময় বিবাদী মাওলানা হাফেজ এনামুল হক অন্যান্য দিনের ন্যায় তার পৈত্রিক বাসভবনে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। অপরদিকে সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ মাদ্রাসা পড়ালেখা চালু রাখার স্বার্থে উক্ত প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের ছেলে এনামুল হককে অত্র জামিয়ার অস্থায়ী মুহতামিম নিয়োগের চেষ্টা করলে তিনি শক্তভাবে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে জামেয়া শুভাকাঙ্ক্ষী প্রতিবেশীগণ মাদ্রাসার বৃহত্তর স্বার্থে সদরে মুহতামিমকে মুহতামিম ঘোষণা করেন এবং বয়োবৃদ্ধ উক্ত হুজুরকে সঠিক সহযোগিতা করার জন্য মাওলানা হাফেজ এনাম সহ অপর দুজনকে নায়েবে মুহতামিম নিয়োগ দেন। বিষয়টি নিয়ে ৬ নভেম্বর টেকনাফ মডেল থানা সম্মেলন কক্ষে ওসি গিয়াস উদৃদিনের তত্ত্বাবধানে বোর্ড মহাসচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সদরে মুহতামিম মাওলানা মোখতার আহমদকে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম হিসেবে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। পাশাপাশি
মওলানা এনামুল হককে অস্থায়ী নায়েবে মুহতামিম ঘোষণা করলে মওলানা আফসার উদ্দিন জোরালো আপত্তি জানান এবং সাথে সাথে মওলানা এনামুল হক তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, আমি সংঘাত চাই না, শান্তি চাই।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বোর্ডের মহাসচিব স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দেখা যায়, ৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য দু’জন এসআই (সাব-ইনেস্পেক্টর) সহ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম ১৩ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার কথা থাকলেও ১১ নভেম্বর মাওলানা আফসার উদ্দিন চৌধুরী বাদী হয়ে দশ জনকে বিবাদী করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ওই মামলায় নিরপরাধ এলাকার অধিকতর সম্মানিত আলেম হাফেজ মওলানা এনামুল হক এর নাম দেখে এলাকার সচেতন মহলের পাশাপাশি সাধারন জনতা হতবম্ভ হয়ে পড়েন এবং বিতাড়িত মওলানা আফছার উদ্দীনকে ধিক্কার জানান পাশাপাশি উক্ত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোরদাবী জানান। এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, তদন্তে নিজের অপকর্ম উঠে আসার ভয়ে চলমান তদন্ত স্থগিত করার স্বার্থেই ওই মামলাটি দায়ের করেছেন মওলানা আফছার। পক্ষান্তরে এলাকাবাসীর প্রস্তাবিত মুহতামিমকে অগ্রিম বিতর্কিত করার হীন স্বার্থেই ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত হাফেজ মাওলানা এনামকে বিবাদীদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিকে টেকনাফের আপামর জনতার একটাই দাবী অবিলম্বে হাফেজ মওলানা এনামুল হককে উক্ত মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আফছারের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান। পাশাপাশি মওলানা আফছারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব হলে উক্ত মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে নিয়ে মানব বন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসুচী পালন করবেন বলে হুশিয়ারি দেন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে যথাযত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানান সচেতন মহল।