০২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাকা ছিটিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ম্যজিক ম্যান ঝিলংজার নাছির মেম্বার!

দেশে সংগঠিত জুলাই আগষ্টের ছাত্র জনতার বিপ্লব ধমনে অর্থ যোগান দাতা,স্বৈরাচার সরকারের প্রভাবশালী এমপি সাইমুন সরওয়ার কমলের ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত দাপটে আওয়ামী লীগ নেতা ঝিলংজা ০৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন মেম্বারের কেরামতিতে চরম বেকায়দা পড়েছে প্রশাসন।

গেল ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা গদি ছেড়ে পালিয়ে গেলে তৎকালীন সরকারের বেশিরভাগ নেতাকর্মী সমর্থক চলে যায় আত্মগোপনে৷ তারই ধারাবাহিকতায় নাছির মেম্বারও কিছু দিন আত্মগোপন থাকলেও সদর মডেল থানার পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয় গত ৮ অক্টোবর।কিন্তু আটকের একদিন পর এক প্রকার ম্যাজিকের মত আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে নাছির মেম্বার।

জনস্রোতি রয়েছে থানা পুলিশকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় দ্রুত ছাড়া পেয়েছে বলে জানা যায়। ছাড়া পাওয়ার পর থেকে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ এবং বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে কোটি টার মিশনে নেমেছে বলে বিশস্ত সূত্রে খবর পাওয়া যায়। তাছাড়াও বিকল্প পথে মাঠ চষে বেড়াতে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) কক্সবাজার জেলা শাখা কমিটি। সেই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদও ভাগিয়ে নিয়ে নেয় এ নাছির মেম্বার।আবার জেলা মেম্বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিলংজা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ইউপি সদস্য নাছির প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে সরকারি বিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর চক আঁকছিল।

অভিযোগ রয়েছে, এই নাছির মেম্বার পট পরিবর্তনের পর থেকে খোলস পাল্টে বীরদর্পে চলাফেরা করছে। নিজেকে কখনো বিএনপি আবার কখনো জামায়াতের লোক দাবি করে ইউপি সদস্যদের নিয়ে বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেন নাছির মেম্বারসহ আরো কয়েকজন ইউপি সদস্য। মূলত সদরের ইউপি সদস্য হওয়ায় এসব কর্মসুচীতে সে মূল আয়োজকের ভূমিকা পালন করে।

সর্বশেষ ৮ নভেম্বরের কলাতলী ইউনি রিসোর্টে গোপন বৈঠকেরও মূল আয়োজক ছিলো সে কিন্তু পুলিশ আসার খবর পেয়ে কৌশলে সবার অজান্তে হোটেল মালিকের সহযোগিতায় হোটেল থেকে সটকে পড়ে।

এ ছাড়া সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান টিপু সুলতান সরকারি আদেশে পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর প্যানেল চেয়ারম্যান হওয়ার খায়েস নিয়েই মাঠে নেমেছেন নাছির উদ্দিন। বিষয়টি বিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের স্থানীয় সরকারকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচিত কোনো ইউপি সদস্যকেও বিশ্বাস করে না এই অন্তবর্তীকালীন সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসাবেই তাদের বিবেচনা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন থেকেই চেয়ারম্যান পদগুলোতে কাদের প্রশাসক বসানো হবে, যারা জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করেন, তারাই সুযোগ পাবেন জানা যায়।

নাছির উদ্দিন মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে,তিনি সদরের লিংকরোড ও উপজেলা বাজারে সরকারি রাজস্ব প্রায় ৩ কোটি ফাঁকি দিয়েছে। হাটের ইজারার জন্য নিলাম ডাকের নিয়ম থাকলেও সেখানে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ পন্থায় খাস কালেকশান হিসেবে বাজারটি হাতিয়ে নেয়া হয়। যে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন অবগত ছিল। এখনো সেই বাজারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে নাছির মেম্বারের হাতে। সেখান থেকে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকায় এখনো আয় করছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী দোকানীরা।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি ছাত্র- জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে স্বৈরাচার দোসদের ঠাঁই হউক আমরা মেনে নেবো না৷ এসব আওয়ামী লীগের মধুখোরদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হউক।

সার্বিক বিষয়ে নাছির উদ্দিন মেম্বারের ব্যবহৃত (রবি) নাম্বারটি বন্ধ থাকার ফলে তাকে ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আলোচিত ঝিলংজা ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন মেম্বারকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের কোন উদ্যোগ আছে কি না জানতে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন এবং ওনার সরকারি মোবাইল নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিলে তিনি বলেন, কোন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

ট্যাগ :
পাঠকপ্রিয়

জমে উঠেছে বৃহত্তর বাদশাঘোনা সমাজ পরিচালনা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা

টাকা ছিটিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ম্যজিক ম্যান ঝিলংজার নাছির মেম্বার!

প্রকাশিত সময় : ০৬:২২:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

দেশে সংগঠিত জুলাই আগষ্টের ছাত্র জনতার বিপ্লব ধমনে অর্থ যোগান দাতা,স্বৈরাচার সরকারের প্রভাবশালী এমপি সাইমুন সরওয়ার কমলের ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত দাপটে আওয়ামী লীগ নেতা ঝিলংজা ০৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন মেম্বারের কেরামতিতে চরম বেকায়দা পড়েছে প্রশাসন।

গেল ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা গদি ছেড়ে পালিয়ে গেলে তৎকালীন সরকারের বেশিরভাগ নেতাকর্মী সমর্থক চলে যায় আত্মগোপনে৷ তারই ধারাবাহিকতায় নাছির মেম্বারও কিছু দিন আত্মগোপন থাকলেও সদর মডেল থানার পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয় গত ৮ অক্টোবর।কিন্তু আটকের একদিন পর এক প্রকার ম্যাজিকের মত আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে নাছির মেম্বার।

জনস্রোতি রয়েছে থানা পুলিশকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় দ্রুত ছাড়া পেয়েছে বলে জানা যায়। ছাড়া পাওয়ার পর থেকে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ এবং বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে কোটি টার মিশনে নেমেছে বলে বিশস্ত সূত্রে খবর পাওয়া যায়। তাছাড়াও বিকল্প পথে মাঠ চষে বেড়াতে কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) কক্সবাজার জেলা শাখা কমিটি। সেই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদও ভাগিয়ে নিয়ে নেয় এ নাছির মেম্বার।আবার জেলা মেম্বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঝিলংজা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ইউপি সদস্য নাছির প্রশাসনের সঙ্গে আঁতাত করে সরকারি বিরোধী কর্মকাণ্ড চালানোর চক আঁকছিল।

অভিযোগ রয়েছে, এই নাছির মেম্বার পট পরিবর্তনের পর থেকে খোলস পাল্টে বীরদর্পে চলাফেরা করছে। নিজেকে কখনো বিএনপি আবার কখনো জামায়াতের লোক দাবি করে ইউপি সদস্যদের নিয়ে বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচী গ্রহণ করেন নাছির মেম্বারসহ আরো কয়েকজন ইউপি সদস্য। মূলত সদরের ইউপি সদস্য হওয়ায় এসব কর্মসুচীতে সে মূল আয়োজকের ভূমিকা পালন করে।

সর্বশেষ ৮ নভেম্বরের কলাতলী ইউনি রিসোর্টে গোপন বৈঠকেরও মূল আয়োজক ছিলো সে কিন্তু পুলিশ আসার খবর পেয়ে কৌশলে সবার অজান্তে হোটেল মালিকের সহযোগিতায় হোটেল থেকে সটকে পড়ে।

এ ছাড়া সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান টিপু সুলতান সরকারি আদেশে পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর প্যানেল চেয়ারম্যান হওয়ার খায়েস নিয়েই মাঠে নেমেছেন নাছির উদ্দিন। বিষয়টি বিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের স্থানীয় সরকারকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচিত কোনো ইউপি সদস্যকেও বিশ্বাস করে না এই অন্তবর্তীকালীন সরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসাবেই তাদের বিবেচনা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন থেকেই চেয়ারম্যান পদগুলোতে কাদের প্রশাসক বসানো হবে, যারা জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করেন, তারাই সুযোগ পাবেন জানা যায়।

নাছির উদ্দিন মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে,তিনি সদরের লিংকরোড ও উপজেলা বাজারে সরকারি রাজস্ব প্রায় ৩ কোটি ফাঁকি দিয়েছে। হাটের ইজারার জন্য নিলাম ডাকের নিয়ম থাকলেও সেখানে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ পন্থায় খাস কালেকশান হিসেবে বাজারটি হাতিয়ে নেয়া হয়। যে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন অবগত ছিল। এখনো সেই বাজারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে নাছির মেম্বারের হাতে। সেখান থেকে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকায় এখনো আয় করছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী দোকানীরা।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি ছাত্র- জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে স্বৈরাচার দোসদের ঠাঁই হউক আমরা মেনে নেবো না৷ এসব আওয়ামী লীগের মধুখোরদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হউক।

সার্বিক বিষয়ে নাছির উদ্দিন মেম্বারের ব্যবহৃত (রবি) নাম্বারটি বন্ধ থাকার ফলে তাকে ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আলোচিত ঝিলংজা ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন মেম্বারকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের কোন উদ্যোগ আছে কি না জানতে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন এবং ওনার সরকারি মোবাইল নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিলে তিনি বলেন, কোন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।