বিগত স্বৈরাচার সরকার আওয়ামী লীগের ১৫ বছর শাসনামলের ব্যাপক সুবিধাভোগী ফ্যাসিস্টের দোসর হামিদ এখন জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের অঙ্গ সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সদর উপজেলাধীন ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ইউনিট কমিটির সভাপতি।
বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সন্তান পরিচয়ে সবধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়েছে হামিদুল হক। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মার্শালের সাথে ছিলো দহরমমহরম সম্পর্ক। হামিদুল হকের ভাই খোরশেদ আলম ছিলো জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ন আহবায়ক। খোরশেদ আলম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের অন্যতম অস্ত্র যোগানদাতা। ছাত্র জনতার আন্দোলন দমনে তার ভূমিকা ছিলো অন্যতম। আর এক ভাই মইন উদ্দিন জনি ছিলো জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের পিএস এবং জেলা ছাত্রলীগের উপ ধর্ম বিষয় সম্পাদক। সে তখন জেলা ছাত্রলীগের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করতো।
গত ১৬ জুলাই ছাত্র জনতার আন্দোলন ঠেকাতে সরকারি কলেজ এলাকায় ছাত্র-জনতার উপর দমন-পীড়ন চালিয়েছিল। এমন কি বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদেরকে মামলার আসামী করা হয়েছিল দুই ভাইয়ের সহযোগিতায়।
এক পরিবারের লোককে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সময় সবচেয়ে নির্যাতিত রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ এ হামিদুল হককে দ্বায়িত্ব দেয়া নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন মোটা অংকের টাকা ছিটিয়ে বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে রাজত্ব করা ভাইদের বাঁচাতে কৌশলে জামায়াতের রাজনীতিতে ডুকে পড়েছে।
স্থানীয় জামায়াত ইসলামী সমর্থিত অনেক নেতাকর্মী বলেছেন,বিগত সরকারের সময় সুবিধা নেয়া লোকজনকে জামায়াতে জায়গা দেয়া ভালো হয়নি৷ এরা সুবিধাবাদী লোক। এসব লোকদের দ্রুত বহিষ্কার করা প্রয়োজন। হামিদুল হককে জামায়াত ইসলামীতে স্থান দেয়ার কারনে ইউনিয়ন জুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
আওয়ামী লীগ ঘরানার একজনকে কিভাবে ইউনিট কমিটির সভাপতি করা হলো জানতে চাইলে ঝিলংজা ইউনিয়ন শাখার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, এসব আমাদের হাতে থাকে না। ঊর্ধতন নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তই এসব কমিটি করা হয়ে থাকে।